Bangla News Dunia, দীনেশ : শেষ হল ১৬৪ দিনের লড়াই! আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিল শিয়ালদা আদালত। এই সাজা শুনে আদৌ কি স্বস্তি পেলেন ‘অভয়ার’ বাবা-মা? তাঁরাও কি মনে করেন সঞ্জয়ই একমাত্র দোষী? নাকি ‘মেয়ের’ মৃত্যুর পেছনে আরও কেউ আছে? স্বস্তি পাওয়া তো দূর, তাঁরা রীতিমত অবাক আদালতের ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ মন্তব্য শুনে। এই ধরণের ঘটনা যদি বিরলের মধ্যে বিরলতম না হয়! তাহলে কোন ঘটনাকে ‘বিরল’ বলা যায়? তাঁরা এই প্রশ্নই রাখলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
আরও পড়ুন:– কলকাতা CNCI ইনস্টিটিউটে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন বিস্তারিত
কথা বলার জন্য সঞ্জয়কে ৩ ঘণ্টা সময় দেন। এই সময়ের মধ্যে সে নিজের একাধিক কথা বলেন। সব শোনার পর বিচারক সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এরপরেই বিচারক আরও জানান, এই ঘটনাকে তিনি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মনে করছেন না। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষিত হল। ওকে খুন করা হল। এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়? আসলে এটা সিবিআইয়ের ব্যর্থতা। ওরাই এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে প্রমাণ করতে পারল না। আমি মনে করি, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। প্রকৃত দোষী ধরা পড়ুক। তা হলেই আমরা খুশি হব। বিচারক যা ভাল বলে মনে করেছেন, করেছেন। এটাকে আমরা সিবিআইয়ের ব্যর্থতা হিসাবে দেখছি।’
আরও পড়ুন:– রহস্যের জট খুলতে কাশ্মীরের গ্রামে এবার কেন্দ্রীয় দল, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
এরপর অভয়ার বাবা বলেন, ‘আমরা এখনও বিচার পাইনি। বিচারের প্রথম ধাপ পার করলাম মাত্র। বিচার পাওয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন বিচারক। উনি যা ভাল মনে করেছেন, তাই করেছেন। আমরা কোনও ক্ষতিপূরণ নেব না। বিচারককে বলেছি। আমরা তো এভাবে আমাদের মেয়েকে বিক্রি করতে পারব না। তাই টাকা নিতেই পারব না। প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পেলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’
আরও পড়ুন:– মহিলাদের প্রতিমাসে 32 হাজার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। চালু হল নতুন প্রকল্প। টাকা পেতে হলে কী করতে হবে?