Bangla News Dunia, Pallab : কসবার ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে (Kasba Rape Case) বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্র। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তাঁরা। কল্যাণ ও মদনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ‘ব্যক্তিগত’ বলে উল্লেখ করে দলের অবস্থান স্পষ্ট করা করেছে তৃণমূল। এনিয়ে বিবৃতি জারির পর এবার নিজের দলের নেতাদের কড়া আক্রমণ শানালেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)।
আরও পড়ুন : যৌন অক্ষমতার সমস্যায় সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !
শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলের কারও নাম না নিয়েই একটি পোস্ট করেন মহুয়া। তাতে কৃষ্ণনগরের সাংসদ লেখেন, ‘ভারতে নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমা দেখে না। কিন্তু তৃণমূলকে যা বাকি দলের থেকে আলাদা করে তা হল, আমরা এই জঘন্য মন্তব্যের নিন্দা করি। তা যে কেউই করুক না কেন।’ কল্যাণ ও মদনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে করা তৃণমূলের পোস্টটিকে উদ্ধৃত করে এটি লিখেছেন মহুয়া।
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্তই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাপুটে নেতা। রীতিমতো প্রভাবশালীও বটে। এমনকি বাকি দুই অভিযুক্তও তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। কিন্তু এরই মাঝে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘যদি একজন বন্ধু তাঁর বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, সেখানে নিরাপত্তা কী করতে পারে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে যদি এই ঘটনা ঘটে, সেখানে কি পুলিশ থাকবে?’ কল্যাণের এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। এরপরই আবার বিধায়ক মদন মিত্র বলে বসেন, ‘মেয়েটি ওখানে না গেলে এমন ঘটনা ঘটতই না। গেছিল যখন তখন বন্ধুকে বলে বা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারত, অভিযুক্তরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।’
এদিকে, বিতর্ক বাড়তেই দলের দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল। শনিবার রাতে দলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ‘দক্ষিণ কলকাতার ল’ কলেজের ঘটনায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত মত।