Bangla News Dunia, Pallab : পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে হওয়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানালেন জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস। পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে ঘটনার মূল চক্রী যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে যে বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল সেই বাড়ির দুই মালিক এবং রাজুয়া গ্রামের চার বাসিন্দা। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দুধ চা খালি পেটে খেলে সর্বনাশ, কী হয় ? জানুন
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামের একটি বাড়িতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়, জখম হন তিনজন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই গ্রেপ্তার করে বোমা তৈরির মাস্টার মাইন্ড তুফান চৌধুরীকে। বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম হয়েছিল সে। তাকে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এবং তার ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিৎ হয় যে, তুফানের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছে কেতুগ্রামের জামির শেখ। এরপরেই পুলিশ জামিরকে গ্রেপ্তার করে। জামির গ্রেপ্তার হতেই তার বালি ব্যবসা যোগ সামনে আসে। পুলিশ এও জানতে পারে, যে বাড়িতে বসে লুকিয়ে বোমা বাঁধা হচ্ছিল সেই বাড়ির মালিকেরও মদত ছিল বোমা তৈরিতে। সেই কারণে পুলিশ ওই বাড়ির মালিক আবু তাহের ওরফে হাসু এবং অনুপ কায়িম শেখ ওরফে পিনুকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও বোমা তৈরি স্থান পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল মোল্লা এবং জোমেইদ শেখকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তুফান বাদে বাকি পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করতে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় বরকত শেখ নামে একজনের। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, বীরভূমের নানুর থানার শিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা ছিল বরকত। জামিরই বোমা তৈরির জন্য বরকতকে রাজুয়া গ্রামে ডাকিয়ে এনেছিল। পুলিশ সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত বিস্ফোরক পদার্থ জামির জোগাড় করেছিল। তুফান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে রবিবার আদালতে পেশ করা যায় নি। বাকি পাঁচ ধৃতকে পুলিশ এদিন কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। তাদের মধ্যে জামির শেখকে ৫ দিনের পুলিশি হেপাজত আর বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন : শাহী ইদগাহ বিবাদ মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল হিন্দু পক্ষ !