Bangla News Dunia, Pallab : সোমবার ওয়াকফ মামলা শুনলেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। মামলাটি পাঠানো হল শীর্ষ আদালতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি খান্নার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ মে। ওই দিন তিনি অবসর নেবেন। সেই কারণেই ওয়াকফ মামলাটি খান্না শুনলেন না বলে মনে করা হচ্ছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৫ মে।
আরও পড়ুন : দেদার প্যারাসিটামল খেলে কী বিপদ? বড়সড় রোগ পাকার আগে জানুন
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একগুচ্ছ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সেই মামলায় গত ২৫ এপ্রিল নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ এই মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি খান্না বলেন, ‘‘দুটো বিষয়ে আমার কিছু বলার রয়েছে। আমি কোনও রায় বা অন্তর্বর্তী নির্দেশ স্থগিত রাখতে চাই না। মামলাটি সঠিক দিনেই শোনা উচিত। যেহেতু আমি ১৩ মে অবসর নেব, সেকারণে ওয়াকফ মামলাটা আমার হাতে থাকবে না। তাই মামলাটি বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চে পাঠাচ্ছি।’’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল ওয়াকফ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৫ মে পর্যন্ত ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনও বদল আনা যাবে না। কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মতোই শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, সংসদের যৌথ কমিটির সুপারিশের পরেই সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ করা হয়েছিল। ফলে স্থায়ী এই ওয়াকফ আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করার ক্ষমতা আদালতের নেই। অন্য দিক, ওয়াকফ আইন নিয়ে ‘ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিভ্রান্তি’ ছড়ানো হচ্ছে বলেও সওয়াল করে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে সঞ্জীব খান্নার। ওই দিন তিনি অবসর নেবেন। পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি বেছে নিয়েছেন বিআর গাভাইকে। উত্তরাধিকার হিসাবে বিচারপতি গভইয়ের নাম প্রস্তাব আকারে তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন আইন মন্ত্রকে। আগামী ১৪ মে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। প্রধান বিচারপতির পদে দায়িত্ব নিয়েই তিনি শুনবেন ওয়াকফ মামলা। ওয়াকফ মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৫ মে।
আরও পড়ুন : পিত্তথলির পাথরের লক্ষণ কি কি ? জানুন সঠিক কারণ