Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি ক্যানসার দিবস পালিত হয় । এই দিনে মানুষকে এই গুরুতর রোগ সম্পর্কে সচেতন করা হয় । কিডনি ক্যানসারকে রেনাল ক্যানসারও বলা হয় । এটি একটি মারাত্মক রোগ যা কিডনিতে ঘটে । কিডনি কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় । এই কোষগুলি ধীরে ধীরে টিউমারে পরিণত হয় ।
আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে জীবনযাত্রায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা গুরুত্বপূর্ণ । একই সঙ্গে, আপনার খাদ্যাভ্যাসেরও বিশেষ যত্ন নিতে হবে । এমন খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন যা কিডনির স্বাস্থ্যের আরও ভালো যত্ন নিতে । একই সঙ্গে এই গুরুতর রোগের লক্ষণগুলি সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন যাতে আপনি সময়মতো রোগটি শনাক্ত করতে পারেন এবং নিজের চিকিৎসা নিতে পারেন । জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত ৷
কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । এটি আমাদের শরীরে উপস্থিত বিষাক্ত উপাদানগুলি অপসারণ করতে কাজ করে । কিডনিতে সামান্য সমস্যা হলে পুরো কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় । এরফলে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় । অনেক সময় মানুষের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । একই সঙ্গে কিছু মানুষকে কিডনি ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের মুখোমুখি হতে হয় ।
এটি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে । তাই কিডনির স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সুস্থ কিডনির জন্য, খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ । জেনে নেওয়া প্রয়োজন, এমন খাবার সম্পর্কে যা কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন:- চালু হয়ে গেলো AC লোকাল ট্রেন, কোথায় কোথায় স্টপেজ? ভাড়া কত?
কিডনি ক্যানসারের লক্ষণ:
- প্রস্রাবে রক্তপাত
- প্রস্রাবের রঙ গোলাপি, লাল বা বাদামি হতে পারে ।
- তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা ।
- আকস্মিক ওজন হ্রাস ।
- খিদের অভাব ।
- সবসময় ক্লান্ত বোধ করা ।
- ঘন ঘন জ্বর ।
- রক্তাল্পতা ।
- রাতের ঘাম ।
রসুন: রসুনে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ যা কিডনিকে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে । এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম, যা কিডনির জন্য উপকারী । রসুন শাকসবজি, স্যুপ বা সালাদে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ।
আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে । এটি কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে । প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয় ।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজে পটাশিয়াম এবং ফসফরাস কম থাকে ৷ যা কিডনির জন্য উপকারী । এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কিডনির ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে । পেঁয়াজ সালাদ, সবজি বা স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে ।
বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে । এগুলি কিডনিকে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে । বেরিতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে, যা কিডনির জন্য উপকারী ।
ফুলকপি: ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং ফাইবার থাকে । এটি কিডনিকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে । এটি সেদ্ধ করে বা ভাজিয়ে খাওয়া যেতে পারে ।
মাছ: সালমন, ম্যাকেরেল এবং টুনার মতো মাছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা কিডনির প্রদাহ কমায়। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎসও, তবে এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত ।
ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের প্রোটিন থাকে এবং ফসফরাস কম থাকে । এটি কিডনির জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প, বিশেষ করে যারা কিডনির রোগে ভুগছেন তাদের জন্য ।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যযুক্ত । এটি কিডনিকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে এবং হৃদপিণ্ডের জন্যও উপকারী । এটি স্যালাড বা সবজিতে ব্যবহার করা যেতে পারে ।
ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামে পটাসিয়াম কম এবং ভিটামিন সি, এ এবং বি6 সমৃদ্ধ । এটি কিডনির জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প এবং স্যালাড বা সবজিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ।
জল: কিডনির জন্য জল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এটি কিডনিকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে । প্রতিদিন 8-10 গ্লাস জল পান করলে কিডনি সুস্থ থাকে ।
https://pmc.ncbi.nlm.nih.gov/articles/PMC8902019/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)
আরও পড়ুন:- ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির কারণে জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি, বাংলা কি এর ফল ভুগবে ?