Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কুড়কুড়ের প্যাকেট চুরির অপবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। আত্মহত্যার আগে নাবালক ছেলেটি সুইসাইড নোট লিখে যায়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়াটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম আমি চুরি করিনি।’ গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন:- ‘চিকেনস নেক’ নিয়ে ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি অসমের মুখ্যমন্ত্রীর, বিস্তারিত জেনে নিন
জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু দাস নামের ওই নাবালক রবিবার বাজারে চিপস কিনতে গিয়েছিল। এলাকারই সিভিক ভলান্টিয়র শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই গিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। যদিও দোকানদার অর্থাৎ শুভঙ্কর দীক্ষিতকে বারবার ডেকেও সাড়া পায়নি সে। এরপর দোকানের বাইরেই কুড়কুড়ের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে কৃষ্ণেন্দু সেই প্যাকেট কুড়িয়ে নেয়। বাড়ি ফেরার সময় দোকানের মালিক শুভঙ্কর দীক্ষিতের সঙ্গে তার দেখা হয়। শুভঙ্কর পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করেন ওই নাবালকের পেছন পেছন। এরপর কৃষ্ণেন্দু পাকড়াও করে চুরির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ, বাজার এলাকায় কৃষ্ণেন্দুকে কান ধরে ওঠবস করান ও মারধর করে। সেই সময় কৃষ্ণেন্দু চিপসের দামও শুভঙ্কর কে দেয়। লোকমুখে ঘটনার কথা জেনে কৃষ্ণেন্দুর মা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে শাসন করেন ও বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
বাড়ি ফিরে সুইসাইড নোট লিখে কীটনাশক খেয়ে নেয় কৃষ্ণেন্দু। তারপরই তাকে তমলুক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায় কৃষ্ণেন্দু। এরপরেই পরিবার ও গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শুভঙ্কর দীক্ষিতের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কোনও সিসিটিভি ফুটেজ তিনি দেখাতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:- স্মার্ট মিটার কি ? বিল কি বাড়বে? এর সুবিধা অসুবিধা কি ? বিস্তারিত জেনে নিন