Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কেন আদানি গ্রুপের দিকে নজর দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ? সংস্থা গুটিয়ে নেওয়ার পরে সেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খোলসা করেছেন কারণটি। সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আদানি গ্রুপ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন অফশোর সংস্থার মাধ্যমে কোম্পানির আয় বৃদ্ধি দেখিয়ে কারচুপি করে আদানি গ্রুপ তাদের নানা সংস্থার শেয়ারের দর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে নিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল আদানি গ্রুপ। সেই রিপোর্টের পরেই আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নেমেছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সময় নিয়েছিল আদানি গ্রুপ।
আরও পড়ুন:- নিজেদের দেশেই ব্যান আর্জেন্তিনা ফুটবল সমর্থকরা! কারণ জানলে অবাক হবেন
কেন হিন্ডেনবার্গের স্ক্যানারে ছিল আদানি গ্রুপ?
পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাথান অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘আমরা প্রাথমিক ভাবে নানা সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে দেখেছি বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে। সেই কারণেই বিষয়টিতে আমরা নজর দিই। শুধুমাত্র প্রমাণগুলিতে নজর রেখে গিয়েছি আমরা।’
হিন্ডেনবার্গের আদানি সংক্রান্ত রিপোর্ট বেরোনোর পরেই ভারতের নাগরিক ও রাজনীতিবিদদের একটি অংশের দাবি ছিল, ভারতের অর্থনীতির উপর আঘাত হানতেই এই কাজ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেই দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন নাথান। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের ক্ষমতার প্রতি আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি। বাজারে স্বচ্ছতা থাকলে এবং কর্পোরেটের উপর সরকারি নজরদারি থাকলে তা ভারতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।’
আদানি গ্রুপ নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট ভারতের রাজনীতি বৃত্তেও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। পরে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় বিষয়টি নিয়ে সেবি যে তদন্ত করছে তার বাইরে আলাদা করে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই। অভিযোগ উঠেছিল জর্জ সোরোসের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হিন্ডেনবার্গের। সোরোস ফাউন্ডেশনের তরফে হিন্ডেনবার্গ আর্থিকভাবে লাভবান হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিষয়ে নাথান অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। তাঁর মতে, ‘এগুলো সামান্য কনস্পিরেসি থিওরি।’ সেই কারণেই এগুলোর উত্তর দেওয়ার কথা ভাবেনি তাঁর সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসনের দাবি, তাঁর সব রিপোর্টই ১০০ শতাংশ সত্য। তাঁর সংস্থার তৈরি রিপোর্ট কখনও কোনও হেজ ফান্ডের হাতে যায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।