Bangla News Dunia, Pallab : সোমবার নদিয়ার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় প্রাণ হারিয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তমান্না খাতুনের। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে ক্রোধের আগুন মৃতার পরিবারে। শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে ফুঁসছেন মা। এই পরিস্থিতিতে মৃতার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নদিয়ার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে। তমান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন পুলিশ সুপারের মুখের উপর অনায়াসে বলে দিয়েছেন, ‘কোনও ক্ষমতা নেই আপনাদের। কিছুই করতে পারবেন না। বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে।’ সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক_চিকিৎসায়_ সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !
সোমবার নদিয়ার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। তৃণমূলের জয়ের খবরে বিজয় মিছিল শুরু করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। তৃণমূলের সেই বিজয় মিছিল থেকেই এক সিপিএম সমর্থকের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। মায়ের সামনে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তমান্না খাতুনের। সেই সময় ছোট্ট মেয়ে মায়ের সঙ্গে স্নান করে ফিরছিল। সেই সময়েই এই বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ মীরা ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মৃতা তমান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নদিয়ার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে। এসপির চোখে চোখ রেখে হুঙ্কার দিয়েছেন সদ্য সন্তানহারা মা সাবিনা। তিনি বলেন, ‘আপনাদের তো শেখানো হয়েছে, ঝামেলা লাগুক, শিশুর প্রাণ যাক। কিছুই করবে না। আপনার কাউকে জবাব দিতে হবে না। আপনি আমাকে জবাব দিন। আমার সন্তান ফেরত চাই।’ এরপরেই মায়ের দিকে হাত বাড়িয়ে পুলিশ সুপার যখন বলেন, ‘যারা এটা করেছে, নিশ্চিন্তে থাকুন আমরা গ্রেপ্তার করব।’ এসপির আশ্বাসে আরও তীব্র হয় সাবিনার ক্ষোভ। মুখের উপর বলেন, ‘কোনও ক্ষমতা নেই আপনাদের। থাকলে মোলান্দি ঠান্ডা হয়ে যেত। তা হলে বাচ্চা নিয়ে আমাকে পালাতে হতো না। আমি বোনের বাড়ি চলে যেতাম। শুধু আমার মেয়ে ক্লিপ অর্ডার করেছিল অনলাইনে। সোমবারই আসার কথা ছিল। তাই থেকে যাই।’ সপাটে সাবিনা বলে দেন, ‘কিচ্ছু করবেন না! বেরিয়ে যান এখান থেকে।’ দ্রুত সেই জায়গা ছাড়েন পুলিশ।
এইপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘সদ্য মেয়েকে হারিয়েছেন, ওঁর মানসিক পরিস্থিতি এখন ঠিক নেই। এ রকম বলাটাই স্বাভাবিক। পুলিশ প্রথম থেকে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এরকম কথাবার্তা অনেক জায়গাতেই শুনতে হয়। আর সিবিআই তদন্ত চাওয়াটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করেছে। বাকি অভিযুক্তরাও খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার হবে।’।