কোন বয়সে কোন ধরনের বীমা করা উচিত ! জানুন বয়স অনুযায়ী বীমা পলিসি নির্বাচন পদ্ধতি

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ : বর্তমান সময়ে আর্থিক বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে একটি ছিল মাধ্যম হয়ে উঠেছে বীমা পলিসি গুলি। বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় থেকে সাধারণ মানুষরা বীমা পলিসির মাধ্যমে বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছেন। যে সমস্ত সংস্থা গুলি বিভিন্ন বীমা পলিসি পরিচালনা করেন তাদের মাধ্যমে নানা ধরনের বীমা পরিকল্পনা কিনতে পারেন গ্রাহকরা। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি বীমা পলিসি ক্রয় করার পর গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের উদাসীনতা কাজ করে। তাই সময়ের সাপেক্ষে বা বয়সের ভিত্তিতে বীমা পলিসি যে পরিবর্তন করা উচিত, সে কথা অনেকেই ভুলে যান। তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বীমা পলিসির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যেহেতু মানুষের চাহিদা গুলিও ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে, তাই সেই অনুযায়ী সঠিক বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নিন কোন বয়সের মানুষের জন্য কোন বীমা পলিসি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন:- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার সেরা 5 ঘরোয়া টোটকা, বিস্তারিত জেনে নিন

তরুণ প্রজন্মের জন্য বীমা পরিকল্পনা

সাধারণত তরুন বয়সে অর্থাৎ ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে একজন ব্যক্তি নিজে উপার্জন করা শুরু করেন। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে পেশাগত জীবন শুরু করার সাথে সাথে একটি বীমা পরিকল্পনাও এই সময় গ্রহণ করা উচিত। নিজের ক্যারিয়ারে উন্নতি করার পাশাপাশি এই সময় পরিবারের দায়িত্ব ও নিতে হয় তরুণ প্রজন্মকে। সুতরাং এই সময় প্রথমেই একটি স্বাস্থ্য বীমা গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরি ক্ষেত্রে যোগদান করার পরেই টু হুইলার বা চারচাকা গাড়ি ব্যবহার করা শুরু করেন। তাই এই সময় ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমাও নিয়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন : বৃদ্ধ বয়সে ভালো থাকার উপায় !

২৫-৪০ বছর বয়সীদের বীমা পরিকল্পনা

সাধারণত এই বয়সে একজন ব্যক্তির জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। সাংসারিক দায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। বিবাহ ও সন্তানদের দায়িত্ব এ সময় প্রধান হয়ে ওঠে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই বয়সটিতে বিমার প্রয়োজনীয়তা সব থেকে বেশি হয়। এই সময় ব্যক্তির উচিত পরিবারের সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্য বীমার অন্তর্ভুক্ত করা। একটি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। এছাড়াও এই বয়সে যদি বাড়ি কিনে থাকেন বা লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে হোম লোন কভার করার জন্য একটি বীমা পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।

আরও পড়ুন:- এই ক্ষেত্রে দেশকে পিছনে ফেলে রেকর্ড আয়ের পথে বাংলা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

৪৫-৫৫ বছর বয়সীদের বীমা পরিকল্পনা

সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করার পর ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে খরচের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। হোম লোন, কার লোন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় লোন এর বোঝা এই সময় চেপে বসে। মূলত ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে এই লোনগুলি পরিশোধ করতে হয়। তাই এই সময় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। এছাড়াও এই সময় সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ে চিন্তা করতে হয়। ফলে এই সময় একটি বৃহৎ আয়ের পরিকল্পনা হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি বীমা পরিকল্পনা গুলি গ্রহণ করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে টার্ম ইন্সুরেন্স গুলি চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এখানে এ সময় কোন পেনশন প্ল্যানের পরিকল্পনা করে রাখলেও ভবিষ্যতে আর্থিক সুরক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই বয়সটিতে মেডিকেল ইন্সুরেন্স করে রাখা বাঞ্ছনীয়।

এইভাবে নির্দিষ্ট বয়স অনুসারে বয়সের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বেনা পরিকল্পনা গুলি গ্রহণ করলে নিজের সারা জীবনের আর্থিক সুরক্ষা বজায় থাকে। যে কোনো জরুরী কালীন পরিস্থিতিতেও এই বীমা পরিকল্পনা গুলি আর্থিক নিরাপত্তা দেয়। ফলে ইন্সুরেন্স পলিসি নিয়ে আর বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক সময় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

আরও পড়ুন:- রাজ্যের এই জায়গায় রয়েছে ‘আদিম’ জঙ্গল-শহুরে সভ্যতা যেখানে শেষ! যাবেন নাকি ?

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন