Bangla News Dunia, Pallab : করোনা মহামারি অতীত। কিন্তু এই নিয়ে এখনও কাটাছেঁড়া অব্যাহত। কোভিড-১৯ (COVID-19) এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে আঘাত হানার চার বছর পর কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করতে বাধ্য হল যে, কোভিডে মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে বাস্তব পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ ছিল। ২০২১ সালের সরকারি হিসাব বলছে, কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা আসলে সরকারি হিসেবে যা বলা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিচ্ছে ১০০০ টাকা ! কারা পাবেন, কীভাবে আবেদন করবেন ?
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আঘাতে ভারতে কোভিড-১৯ অতিমারির ভয়াবহ রূপ দেখা যায় আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে। সেইসময় হাসপাতালগুলির সামনে রোগীদের লম্বা লাইন, অক্সিজেনের হাহাকার, নদীতে ভেসে আসা মৃতদেহ—এইসব হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হতে হয়েছিল দেশবাসীকে। যদিও তখন সরকারি তথ্যে দাবি করা হয়েছিল, কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও স্বাধীন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আসল চিত্র অনেক ভয়াবহ।
প্রায় চার বছর পর গত সপ্তাহে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল ২০২১ সালের যে নাগরিক নিবন্ধন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে ২১.৫ লক্ষ। অথচ সরকার জানিয়েছিল কোভিডে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৩.৩২ লক্ষ। এর মানে হল, ওই বছর প্রায় সাড়ে ছয় গুণ বেশি মৃত্যু ঘটেছিল, যা কোভিডজনিত বলেই ধরে নেওয়া যায়।
করোনা মহামারি চলাকালীন লকডাউনে সড়ক দুর্ঘটনা যেমন কমে গিয়েছিল, ঠিক তেমনই এই অতিরিক্ত মৃত্যুর কারণ মূলত কোভিডই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যভেদে এই গড় আরও বেশি—গুজরাটে ৪৪.২ গুণ, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে ১৯.৫ গুণ, তেলেঙ্গানায় ১৮.২ গুণ বেশি মৃত্যু দেখা গিয়েছে।।
আরও পড়ুন : ৫০% DA এখনই ? সুপ্রিম পর্যবেক্ষণে ভীষণ উচ্ছসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীরা
আরও পড়ুন : রাজ্যের নতুন পেনশন প্রকল্পে প্রতিমাসে পাবেন ১০০০ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন