Bangla News Dunia, Pallab : কোলেস্টেরল এর সমস্যা বেড়েই চলেছে। কোলেস্টেরল হলে নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং জীবনের ঝুঁকি থাকে। তাই কোলেস্টেরল দেখা দিলে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসা এবং খাদ্যভাস মেনে চলা উচিৎ। সেইসাথে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে শুধু ঔষধে সারেনা। কোলেস্টেরল হল হাইড্রকার্বন কোলেস্টেন থেকে উৎপন্ন যৌগ। মানুষের রক্তে ৩ ধরনের কোলেস্টেরল থাকতে পারে।
আরও পড়ুন : ভারতীয় রেলে প্রচুর কর্মী নিয়োগ। মাসিক বেতন 19,900 টাকা। শীঘ্রই আবেদন করুন
১) LDL- low density lipo protein
২) HDL-high density lipo protein)
৩) ট্রাইগ্লিসারাইড ।
১) এলডিএলঃ রক্তে এলডিএল এর মাত্রা বেড়ে গেলেই মূলত সেটাকে কোলেস্টেরল সমস্যা ধরা হয় । পূর্ণ বয়স্ক মানুষের
রক্তে ১.৬৮-১.৪৩ গ্রাম/ ডেসি লিটার এলডিএল থাকে।
২)এইচডিএলঃ এইচডিএল আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখে, শারীরিক বৃদ্ধি ঘটায়।আমাদের রক্তে .৯০-১.৬০ গ্রাম / ডেসি লিটার এইচডিএল থাকে। সহজ ভাষায় বলা যায়, এইচডিএল আমাদের বন্ধুর মত।
৩)ট্রাইগ্লিসারাইডঃ আমাদের শরীরে মেদ/ চর্বি হিসেবে যা জমে তাই ট্রাইগ্লিসারাইড। তাই যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাদের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
যাদের কোলেস্টেরল বেশি হয়ঃ- কোলেস্টেরল সমস্যা যেকোনও বয়সেই হতে পারে।কিন্তু আপনার বয়স যদি ৩৫/তার বেশি হয় আপনি সহজেই কোলেস্টেরল সমস্যায় পড়তে পারেন।আমাদের দেশে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি বেশি।যারা বসে বসে কাজ করেন সারাদিন তারা বেশি আক্রান্ত হতে পারেন।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণঃ
* ফাস্ট-ফুড বেশি খাওয়া।
* রেড মিট , চিংড়ি মাছ , চকলেট বেশি খেলে।
* আমাদের গৃহীত খাদ্য পরিশ্রমে ব্যয় না হলে, অতিরিক্ত খাবার দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়,ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।
* খাবার পরপরই ঘুমাল।
* তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে।
* শারীরিক পরিশ্রম (যেমন, হাঁটা ) কম করলে ইত্যাদি।
কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে যেভাবে বুঝবেনঃ
* অল্প পরিশ্রমেই ঘেমে যাওয়া ও হাঁপিয়ে ওঠা।
* মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা।
* বুক ধরফর করা।
* দুর্বল বোধ করা।
* দেহের ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা ইত্যাদি।
হোমিও মতে লক্ষণ অনুযায়ী মেডিসিন দিতে হয়-
* Lycopodium:- রক্তের কোলেস্টেরল চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য মেডিসিন, কোলেস্টেরলের সহিত শরীরের ডান দিকে রোগ আক্রান্ত হয়।
* Medorinum :- সাইকোসিস দোষ প্রবনতা, চর্বি জাতীয় খাবারে আসক্তি, দিনের যেকোনো সময়ে রোগের বৃদ্ধি, রাত্রিতে ভালো থাকে। বংশে জটিল রোগ যেমন হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা থাকলে সেসব রোগীদের ক্ষেত্রে মেডোরিনাম কার্যকরী।
* কোলেস্টেরিনাম:- কোলেস্টেরলের সহিত পিত্তথলিতে স্লাজ বা পাথর হওয়ার প্রথমিক পর্যায়ে কোলেস্টেরিনাম কার্যকরী।
* সিয়ানান্থাস:- কোলেস্টেরলের কার্যকরী ঔষধ, ইহার মাদর টিংচার ১৫-২০ ফোঁটা দিনে ২বার করে খেলে কোলেস্টেরল আস্তে আস্তে কমতে থাকে।