Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গরমকালে প্রচুর পরিমাণে বিয়ার খাওয়া হয়। এক মগ বিয়ার তোমাকে পৃথিবীর দুঃখ থেকে দূরে রাখতে পারে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে বিয়ার কীভাবে তৈরি করা হয়।
বিয়ার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় শস্য পচানোর প্রক্রিয়া দিয়ে, যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় “মাল্টিং” এবং “ফারমেন্টেশন” বলা হয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, শস্য থেকে চিনি বের করা হয়, যা খামির দ্বারা অ্যালকোহল এবং কার্বন ডাই অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়।
বিয়ার তৈরির জন্য প্রথমে বার্লি নির্বাচন করা হয়। এর পর বার্লি পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়, যার ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই এটি অঙ্কুরিত হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটিকে “গলানো” বলা হয়।
যখন বার্লি অঙ্কুরিত হয়, তখন এতে উপস্থিত স্টার্চ চিনিতে পরিণত হতে শুরু করে, যা পরে খামির দ্বারা অ্যালকোহলে রূপান্তরিত হয়। আসুন আমরা আপনাকে বলি, গলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ৫-৭ দিন স্থায়ী হয়।
মাল্টিংয়ের পর, ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়। আসলে, যখন বার্লি সম্পূর্ণরূপে অঙ্কুরিত হয়, তখন এটি শুকানো হয় এবং তারপর গুঁড়ো করা হয়। এই গ্রাউন্ড মাল্টটি জলে মিশিয়ে গরম করা হয়। এতে করে এতে উপস্থিত চিনি দ্রবীভূত হয়।
এর পর মিশ্রণটি ঠান্ডা করা হয় এবং তারপর এতে খামির যোগ করা হয়। এটি সেই পর্যায় যাকে আপনি সহজ ভাষায় “ফারমেন্টেশন” নামে জানেন।
গাঁজন প্রক্রিয়াটি প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন স্থায়ী হয়। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এটি ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। গাঁজন করার জন্য যে সময় এবং তাপমাত্রা লাগে তা বিয়ারের স্বাদ এবং ধরণের উপরও প্রভাব ফেলে।
গাঁজন করার পর, বিয়ারটিকে আরও কিছু সময়ের জন্য রাখা হয় যাতে এর স্বাদ আরও উন্নত হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় “ল্যাগিং” বলা হয়। এই প্রক্রিয়াটি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কখনও কখনও ল্যাগারিং সময় বিয়ারের ধরনের উপরও নির্ভর করে। ‘লেগার’ নামে পরিচিত কিছু বিশেষ বিয়ারের স্বাদ উন্নত হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। যদি ল্যাগারিংয়ের জন্য সময় না দেওয়া হয়, তাহলে বিয়ারের স্বাদ খুব তেতো হতে পারে।
আরও পড়ুন:- আজকাল অনেকের অল্প বয়সেই চুল পেকে যাচ্ছে কেন? জেনে নিন প্রতিকার