Bangla News Dunia, Pallab : সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির গরমের ছুটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতরের পক্ষ স্পষ্ট করে জানানো হয়ে রাজ্যের আর গরমের ছুটি হবে কিনা এবং সঙ্গে বর্ষার ছুটি দেওয়ারও পরিকল্পনা সম্পর্কে রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দেয়। আসুন তাহলে এই প্রতিবেদনে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা যাক –
আরও পড়ুন : ফের ধূসর তালিকায় ঠাঁই হবে পাকিস্তানের! পহেলগাঁও নিয়ে কড়া বিবৃতি দিল এফএটিএফ
গরম পড়তেই অতিরিক্ত ছুটি, কিন্তু তারপরে?
এই বছর রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদাহ দেখা দেয় মে মাসের শেষদিক থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত।এর ফলে স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে শুরু হওয়া ক্লাস আবার ব্যাহত হয়, কারণ অতিরিক্ত গরমে আরও ২ দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।.
এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক অভিভাবক আশা করেছিলেন যে ছুটি আরও বাড়বে বা বর্ষার সময়ে ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু এদিন নবান্নর তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে – রাজ্যে নতুন করে ছুটি নিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
তাপমাত্রা কমেছে, এসেছে বর্ষার পূর্বাভাস
বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমতে শুরু করেছে এবং মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে প্রবেশ করতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এর অর্থ, রাজ্যে শুরু হচ্ছে বর্ষা আবির্ভাব।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা দফতরের যুক্তি, যেহেতু আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠছে, তাই ছাত্রছাত্রীদের আর বাড়তি ছুটি দেওয়ার কোনও কারণ নেই। আপাতত কোনো ছুটির বিষয়ে ভাবছে না শিক্ষা দপ্তর।
বর্ষার ছুটি – বাস্তব না কল্পনা?
এদিকে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগছে – যদি গরমে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়, তবে বর্ষাতেও কি ছুটি পাওয়া উচিত নয়? তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে সামান্য অসুবিধা হলেও তা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে না, যতটা গ্রীষ্মের দাবদাহ করে থাকে। তাই এই মুহুর্তে ছুটি নিয়ে সেই ভাবে ভাবা হচ্ছে না।
এদিন রাজ্যের শিক্ষা পর্ষদও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বর্ষার কারণে ছুটি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই। স্কুলগুলি স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।