Bangla News Dunia, Pallab : হিংসা, বিদ্বেষ, হামাস-ইজরায়েলি দ্বন্দ্ব কিছুই বোঝে না প্যালেস্তিনীয় শিশুরা। তবুও তারা ইজরায়েলি রক্তচক্ষু থেকে রেহাই পেল না। গাজায় (Gaza) আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া এক স্কুলে ইজরায়েলের (Israel) হামলায় রবিবার ঘুমের মধ্যে চিরঘুমের দেশে চলে গেল ১৮টি শিশু। সব মিলিয়ে নিহত হয়েছেন ৩৬ জন প্যালেস্তিনীয়। হামলা অব্যাহত রয়েছে সোমবারও। এদিন গাজা উপত্যকায় বৃষ্টির মতো ঝরেছে ইজরায়েলের বোমা। মোট নিহতের সংখ্যা ৫০।
আরও পড়ুন : ১ জুন থেকে ৭ নিয়মে বড় বদল, পকেটে পড়বে চাপ । বিস্তারিত জেনে নিন
মানবতা শব্দটা বোধ হয় ইজরায়েলের অভিধানে নেই, একথা শোনা যাচ্ছে অনেকের মুখে। অনাহার, অসুস্থতা, খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসার অভাব, জ্বালানি সংকট মানবিক বিপর্যয়কে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। ভয়ংকর চাপে রয়েছেন চিকিৎসকরা। দুধের শিশুরা খাবার পাচ্ছে না। পরিবর্তে প্রতিনিয়ত তাদের বোমা হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। গাজার এই ভয়ংকর পরিণতির মধ্যেও ইজরায়েল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজায় সরকারি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১৮টি শিশুকে মেরে ফেলার ঘটনা ‘গণহত্যার সম্প্রসারণ’ ছাড়া কিছু নয়, যা ইজরায়েলের সেনাবাহিনী প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে গত ৬০০ দিন ধরে করে আসছে। ইজরায়েল সমস্ত আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন লঙ্ঘন করে ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তুচ্যুত প্যালেস্তিনীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে আঘাত হানছে আইডিএফ। গাজায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এই অবস্থায় গাজায় মার্কিন সমর্থিত একটি সাহায্য সংস্থার প্রধান প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতা ও প্যালেস্তিনীয়দের প্রতি নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইস্তফা দিয়েছেন।