‘ঘুম উড়ে যাবে…’, শশী-বিজয়নকে মঞ্চে বসিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা মোদির !

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : সম্প্রতি একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রশংসা করেছেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Sashi Tharur)। তা সে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত সরকারের ভূমিকা হোক বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কূটনৈতিক বার্তালাপ। এবার আরও একধাপ এগিয়ে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে আনুষ্ঠানিকভাবে জিনজাম সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মোদির সঙ্গে শশী থারুরের ঘনিষ্ঠতা নজর কাড়ল। এদিন তিরুঅনন্তপুরম বিমান বন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান শশী থারুর। ছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও।

আরও পড়ুন : এই ৩ অভ্যাস মানুষকে ধনী করে, আপনার একটাও আছে?

এই তিরুঅনন্তপুরম শশীর সংসদীয় ক্ষেত্র। এদিন বিজয়নের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আপনি ইন্ডি জোটের একজন মজবুত স্তম্ভ। শশী থারুরজিও এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আজ বোধহয় অনেকেরই রাতের ঘুম উড়ে যাবে।’ বলাই বাহুল্য মোদি ইন্ডিয়া জোটের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। এই সমুদ্র বন্দরের প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিল ‘আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোল প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। উদ্বোধনী  মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গৌতম আদানিও। আর আদানির সঙ্গে কংগ্রেসের বিরোধীতাও সর্বজনবিদিত।

‘আজকের অনুষ্ঠান অনেকের ঘুম উড়িয়ে দেবে।’ এক মঞ্চে কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে সঙ্গে নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।শুক্রবার কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে আনুষ্ঠানিকভাবে জিনজাম সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সমুদ্র বন্দরের প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিল ‘আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোল প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। এই বন্দর উদ্বোধনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের। এদিন নদীর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে শশী থারুর লেখেন, ‘দিল্লি বিমানবন্দরের অব্যবস্থায় দেরি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমি কোনওভাবে ঠিক সময়ে পৌঁছে যেতে পেরেছি। আমার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকতে পেরেছি।’ শশীর এই মোদি মুগ্ধতার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়েছে।

শশী কি বিজেপিতে যাচ্ছেন সেই প্রশ্নও উঠেছে।  সম্প্রতি শশী থারুরের সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘জানি না কোন গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন মন্তব্য করছেন। ইন্ডিয়া জোট, কংগ্রেস কিংবা রাহুল গান্ধী নয়, প্রধানমন্ত্রীই বিনিন্দ্র রজনী কাটাবেন।’

আরও পড়ুন : হার্ট অ্যাটাকের আগে ৭টি সংকেত দেয় আমাদের শরীর, বুঝতে পারলে জীবন বাঁচবে

আরও পড়ুন : ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া উপায়

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন