Bangla News Dunia, Pallab : চিনের দ্বিচারিতায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) ঘোষণাপত্রে সই করতে অস্বীকার করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। একটি সরকারি সূত্র সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, ‘ভারত ঘোষণাপত্রের ভাষা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, পহলগামে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ ছিল না তাতে। উলটে পাকিস্তানে বিভিন্ন হামলার উল্লেখ ছিল, সেকারণে ভারত যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছে।’
আরও পড়ুন : শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে ২৫০০০ কর্মসংস্থান হবে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
পাকিস্তানকে নিশানা করে এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক, আর্থিক মদতদাতা এবং হামলাকারীদের জবাবদিহি করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করা যায় না।’ তাঁর সংযোজন, ‘নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যারা সন্ত্রাসবাদকে লালন পালন এবং ব্যবহার করে, তাদের চরম পরিণতি ভোগ করতেই হবে। কিছু কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়। তারা সন্ত্রাসবাদকে বিদেশ নীতির হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে।’
বুধবার থেকে চিনের কিংডাও শহরে এসসিও বৈঠক শুরু হয়েছে। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। ভারতের পাশাপাশি এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ইরান, বেলারুশ, কাজাখিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গতকাল সেখানে যৌথ ঘোষণাপত্রে করতে অস্বীকার করেন রাজনাথ সিং। নথিতে বালুচিস্তান নিয়ে নিন্দা থাকলেও পহলগাম ইস্যুতে নিন্দা জানিয়ে কোনও মন্তব্য ছিল না। উলটে সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে অশান্তি ছাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। আর এর জেরেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজনাথ ঘোষণাপত্রে সই করতে অস্বীকার করেন।
কূটনৈতিক মহলের মতে, পহলগামে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেয় কেন্দ্র। হামলায় পাক-মদতের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের সমালোচনা করে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান দুর্বল করতেই চিন ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ঘোষণাপত্রের পরিকল্পনা করেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন : বাড়ি বসে মাসে ইনকাম হবে 20,000 টাকা। অনুসরণ করুন পাঁচটি সহজ পদ্ধতি’