জমি রেজিস্ট্রির জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর হয়ে গেল, বিশদে বুঝে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জমি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়ায় সরকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে নাগরিকদের জন্য এই প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল হয়েছে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন গুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। খালি জায়গা, দোকান, ফ্ল্যাট, বাড়ি, বাংলো যাই কেনা হোক না কেন সেই জিনিসের আইনত মান্যতা পেতে হলে রেজিস্ট্রেশন করা আবশ্যক বলেই আমরা সকলে জানি।

জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন

জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাকে নিজেদের সকল তথ্য আধার কার্ডের তথ্যের সঙ্গে মিলছে সেই রকমভাবে দিতে হবে, অনলাইনের মাধ্যমে সকল কাজ করতে হবে, রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বায়মেট্রিক কাজ সারতে হবে, জমি রেজিস্ট্রি ১০ দিনের মধ্যে করতে হবে সকল রেজিস্টারকে আর কোন রকমের গড়িমসি করলে হবে না ও সময় মত কাজ না হলে জবাবদিহিও করা হতে পারে, এরই সঙ্গে আরও কিছু নিয়ম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে পাল্টানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:- বিজেপির বিক্ষুব্ধদের সাপ, ব্যাঙের সঙ্গে তুলনা দিলীপের, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

ডিজিটাল জমি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়া চালু

  • এখন থেকে বেশির ভাগ রাজ্যে অনলাইনেই জমি রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব।
  • “Banglarbhumi”, “e-Nathikaran” বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পোর্টাল ব্যবহার করে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
  • সময়, খরচ এবং দালাল নির্ভরতা কমবে।

স্ট্যাম্প ডিউটি ও জমি রেজিস্ট্রি ফিতে পরিবর্তন

  1. কিছু রাজ্যে জমি কেনা বেচায় স্ট্যাম্প ডিউটি কমানো হয়েছে।
  2. মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
  3. রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান মার্কেট ভ্যালুর উপর ভিত্তি করে।

e-KYC বাধ্যতামূলক

জমির রেজিস্ট্রেশন করার সময় আধার ভিত্তিক পরিচয় যাচাই (e-KYC) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, প্রতারণা ও জালিয়াতি রোধে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আধুনিক সফটওয়্যার ও ডিজিটাল ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহার করে জমি রেজিস্ট্রি অফিস গুলিকে উন্নত করা হয়েছে, দীর্ঘ লাইনের পরিবর্তে এখন অনলাইনে টোকেন বুকিং সুবিধা।

জমির তথ্য এখন অনলাইনে

জমির খতিয়ান ও দাগ নম্বর, জমির মালিকানা ইতিহাস, মিউটেশন স্টেটাস, এই সব তথ্য বিনামূল্যে দেখা ও ডাউনলোড করা যায় সংশ্লিষ্ট সরকারি পোর্টাল থেকে, এককালীন জমি রেজিস্ট্রি নম্বর (Unique Document Number – UDN), প্রতিটি দলিলের জন্য এখন নির্দিষ্ট UDN দেওয়া হচ্ছে, এটি অনলাইনে যাচাই করা যায়, ফলে জাল দলিল চিহ্নিত করা সহজ।

ডকুমেন্ট স্ক্যানিং ও ডিজিটাল স্টোরেজ

জমি রেজিস্ট্রি ডকুমেন্ট গুলি স্ক্যান করে ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সহজেই পুনরুদ্ধার করা যাবে, ভুয়ো জমি বিক্রয় প্রতিরোধে উদ্যোগ, রাজ্য সরকার বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে যাতে করে জালিয়াত চক্র ধরা পড়ে, জমির মালিকানা যাচাইয়ে নতুন সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সমস্ত পদক্ষেপের ফলে জমি রেজিস্ট্রেশন এখন আরও নিরাপদ, দ্রুত ও স্বচ্ছ হয়ে উঠছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই পরিবর্তন গুলি সাধারণ মানুষের জন্য বড় উপকার বয়ে আনবে।

 

আরও পড়ুন:- আপনার চেনা এই ৪ মাছে বিষ আছে, খেলেই ধীরে ধীরে মরবেন

আরও পড়ুন:- নিজের ইচ্ছামতো ব্যাংক একাউন্টে টাকা রাখলেই বিপদ ? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন