Bangla News Dunia, Pallab : আরজি করের পর এবার কসবা। কলেজের গার্ডরুমের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন তৃণমূল ছাত্রপরিষদ কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজের। এই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে কলেজেরই দুই কর্মী ও এক প্রাক্তন পড়ুয়াকে। ধৃতদের মধ্যে একজন কলেজেরই প্রভাবশালী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি ওই আইন কলেজেরই প্রাক্তন পড়ুয়া। বর্তমানে একজন অস্থায়ী কর্মী।
আরও পড়ুন : জুলাই ২০২৫-এ আবারও টানা ছুটি রাজ্যের বিদ্যালয়ে ! জানুন বিস্তারিত ছুটির তালিকা
জানা গিয়েছে, গত বুধবার কসবা থানায় নির্যাতিতা গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, কলেজ বন্ধের পর তাঁকে জিএস পদের তোপ দিয়ে ডেকে পাঠায় অভিযুক্তরা। সেই লোভেই তিনি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গিয়েছিলেন কলেজে। যাওয়ার পরেই অভিযুক্তরা আইন কলেজের গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে আটকে গণধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের সময় ছবি তুলে রেখেছিল অভিযুক্তরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগও করেছেন নির্যাততা।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমি এখনও কিছু জানি না। তবে এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে, সে যেই হোক না কেন, তৃণমূল নেতা থাক বা না থাক, সে অপরাধী।’ এরপর অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রসঙ্গে তৃণাঙ্কুরকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘উনি ওই কলেজেই কাজ করেন। তবে এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও পদে নেই। এই ঘটনা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তা হলে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যেন কেউ আর কখনওই এই রকম কাজের কথা ভাবতে পর্যন্ত না পারেন।’
উল্লেখ্য, কলেজের ‘রাজনৈতিক মহলে’ আলাদাই গাম্ভীর্য রয়েছে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা মণোজিত মিশ্র। এবার তার নাম জড়াল গণধর্ষণ-কাণ্ডে।