Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে চাণক্যের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা। একজন পন্ডিত, কূটনীতিবিদ ,দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ ছিলেন। উল্লেখযোগ্য হল ‘চাণক্য-নীতি’- যা চাণক্যের লেখা শ্রেষ্ট গ্রন্থ। চাণক্য-নীতি সত্যি মানুষের জীবনে আজও সমানভাবে কার্যকর । চানক্য নীতি মেনে চললে জীবনে সফলতা পাওয়া যেতে পারে। জ্ঞানের জোরে মানুষ এই পৃথিবীর সব কিছু অর্জন করতে পারে। তাই নিজেকে জ্ঞানী করে তোলো। কখনও জ্ঞানের অহংকারে অন্ধ হওয়া ঠিক বিষয় নয়।
চাণক্য ছিলেন ভারতের শিক্ষক, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ৷ বিশ্ব সংসার সম্পর্কে তার জ্ঞান ছিল অপার৷ কী করলে আপনার জীবন সুখের হবে সেই সম্পর্কেই বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি৷ দেখে নিন সেগুলি ——
১. চাণক্য নীতি অনুসারে ব্যক্তির জীবনে খারাপ সময় আসতে পারে। সেই সময়ে যিনি ধৈর্য ধরে থাকতে পারেন এবং সংযম দেখান, তিনি সেই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারেন। বিশেষ করে খারাপ সময়ে সেগুলি মাথায় রাখা উচিত। বিপদ ও সঙ্কটের সময় এগুলিই মানুষকে পথ দেখায়। এগুলির সাহায্যেই মানুষ জীবনে এগিয়ে যেতে পারে এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে ফের সাফল্য পেতে পারে।
২. চাণক্যের মতে, খারাপ সময়ে কখনও ধৈর্য হারানো উচিত নয়। মানুষের জীবনে খারাপ সময় আসেই। তাতে দমে গেলে চলবে না। দিনের পর যেমন রাত আসে, তেমনই ভাল সময়ের পর খারাপ সময় আসেই। জীবনে সুখ-দুঃখ এরকমভাবেই আসে-যায়। সুখ যখন কারও জীবনে স্থায়ী নয়, তখন দুঃখও স্থায়ী নয়। যারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, তাদের জীবন সঙ্কটময় হয়ে ওঠে।
৩. সংযমের উপরেও অত্যন্ত জোর দিয়েছিলেন চাণক্য। তাঁর মতে, খারাপ সময়ে সবারই অত্যন্ত গম্ভীর হয়ে যাওয়া উচিত এবং অত্যন্ত সংযমী হয়ে কাজ করা উচিত। ভেবে-চিন্তে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভাল সময় আসার অপেক্ষায় থাকা উচিত।
৪. চাণক্য আরও বলেছেন, রাগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিশেষ করে খারাপ সময়ে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। খারাপ সময়ে ক্রোধ আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে। ফলে নতুন সমস্যা তৈরি হয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল