Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- উত্তর চব্বিশ পরনার টিটাগড়ে সাতসকালে এক আবাসনে বিস্ফোরণ। বাঁশবাগান এলাকায় এই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। এক বহুতলে বিস্ফোরণের ঘটনায় দেওয়াল ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় পাশের বাড়ির টালির ছাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা এখনও জানা যায়নি। এখনও ঘর থেকে বারুদের গন্ধ বের হচ্ছে।
দিনের শুরুতেই এমন ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড। কী থেকে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বহুতলটি খালি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির খবর নেই। ওই আবাসনে রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর আরমান মণ্ডলের ফ্ল্যাট। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, টিটাগড়ে পুরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাঁশবাগান এলাকা যথেষ্ট ঘন জনবসতিপূর্ণ। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই চারতলার ঘরটি অনিল গুপ্তা নামে একজনের নামে ভাড়া দেওয়া। সোমবার সকালে বিস্ফোরণের সময়ে ঘরটি ফাঁকা ছিল। তাই প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ফ্ল্যাটে মজুত ছিল বোমা।
প্রোমোটার জানিয়েছেন, ভোটের সময় কাউন্সিলর আরমান মণ্ডলকে ফ্ল্যাটটি দিয়েছিলেন ব্যবহারের জন্য। তারপর আর তিনি ফেরত দেননি। বর্তমানে ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই পড়েছিল। ফ্ল্যাটটি টিটাগড় পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আরমান মণ্ডল দখল করে রেখেছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন প্রোমোটার। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটের শৌচাগারে বোমা মজুত করা ছিল। মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়। ওই আবাসনেরই চারতলায় থাকেন তৃণমূল কাউন্সিলর আরমান মণ্ডল। প্রোমোটারের দাবি, নির্বাচনের সময় থেকে পাঁচতলার ওই ফ্ল্যাট জবরদখল করে রেখেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। ফেরত চাইলেও দিচ্ছেন না। তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তিনি নিজেও বিস্ফোরণের ঘটনায় ভীত। ওই ফ্ল্যাটের দরজায় কোনও তালা ছিল না। ফলে যে কেউ ঢুকতে পারত বলে কাউন্সিলরের দাবি। কীভাবে বিস্ফোরণ, খতিয়ে দেখছে টিটাগড় থানার পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হবে।
আবাসনটি যে জমির উপরে তৈরি, তার পূর্বতন মালিক বলেন, ভয়ঙ্কর ঘটনা। আমরা সবাই ভীত। ভাগ্য ভাল কারোর কোনও ক্ষতি হয়নি। কে এমন করে গেল, জানি না। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিস্ফোরণস্থল ফাঁকা করে ঘিরে ফেলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরে ক্যারাম বোর্ড ছিল। অর্থাৎ মনে করা হচ্ছে, এখানে ক্যারাম খেলা, আড্ডা এসবই চলত। কেউ সেভাবে থাকত না। ফাঁকা ঘরে কি মজুত থাকা বোমা ফেটে এই বিস্ফোরণ? নাকি বিস্ফোরণের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তৃণমূল কাউন্সিলর আরমান মণ্ডলের ভূমিকাও।
আরও পড়ুন:- সিকিম যাচ্ছেন? কোথায় কোন রাস্তা খোলা ? রাস্তার হাল জেনে পা ফেলুন