Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘বিগ বস চাহতে হ্যায় কি আপ…,’ কল্পনা করুন তো, বিগ বসের বাড়িতে এসে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অভিবাসীরা! একের পর এক চ্যালেঞ্জিং গেমে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদের টাস্ক দিচ্ছেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই টাস্কগুলি আবার দেশাত্মবোধক কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের ঐতিহ্য এবং নিয়ম মেনে তৈরি। টাস্কে জিতলেই মিলবে আমেরিকার নাগরিকত্ব। যা বর্তমানে হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান! ভাবছেন অলীক কল্পনা? আজ্ঞে না। এমনই এক বিগ বস রিয়্যালিটি শো-এর পরিকল্পনা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এটা হতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিগ বস। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি একটি বিগ বসের আদলে রিয়্যালিটি শো শুরু করার ভাবনাচিন্তা করছে। যেখানে অংশ নেবেন অভিবাসীরা। আমেরিকার সিটিজেনশিপ অর্জন করার লক্ষ্যে যাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটা একটা আউট অফ দ্য বক্স ভাবনা। আমেরিকান নাগরিক হওয়া যাঁদের স্বপ্ন, তাঁদের জন্যই এই ভাবনা’।
আরও পড়ুন:- বিরাট সুযোগ! Tech Mahindra-তে ইন্টার্নশিপ নিয়ে চাকরি, আবেদন করলেই পাবেন ৫৪ হাজার টাকা
তবে বিগ বসের আদলে হলেও নাম ‘বিগ বস’ দেওয়া হচ্ছে না। এই রিয়্যালিটি শো-এর নাম হবে ‘দ্য আমেরিকান’। রিয়্যালিটি টিভির বর্ষীয়ান ব্যক্তিত্ব রব ওরসফ, যিনি ‘ডাক ডায়ানেস্টি’ এবং ‘দ্য মিলিয়নিয়ার ম্যাচমেকার’-এর মতো শো করেছেন, তাঁর থেকেই আইডিয়া নেওয়া হচ্ছে। রব নিজেই একজন কানাডিয়ান অভিবাসী। তিনি বলেন, ‘এটা নিম্নমানের নয়। বরং দ্য আমেরিকান হবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার সেলিব্রেশন। আমাদের নৈতিকতা যখন তলানিতে এসে ঠেকেছে, তখন এই শো মার্কিন নাগরিত্ব পেতে কেমন লাগবে, তা অনুভব করাবে’।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অপর মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, ‘নাগরিক দায়িত্ব পালন করা জরুরি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।’
কেমন হবে রিয়্যালিটি শো-এর ফরম্যাট?
রব ওরসফ যে ফরম্যাটের সুপারিশ করেছেন, সেখানে অভিবাসীদের আমেরিকার নানাপ্রান্তে ঘুরতে হবে। নানা সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাঁদের। সমস্ত অ্যাক্টিভিটিই হবে আমেরিকানদের মতো। যেমন স্যান ফ্র্যান্সিকোর খনি থেকে সোনা খুঁজে আনা কিংবা কত দ্রুত একজন অভিবাসী রকেট অ্যাসেম্বল করতে পারবেন। এছাড়াও কানকাসে ঘোড়ায় চড়ে চিঠি পৌঁছে দেওয়া, ডেট্রয়েটে মেডল টি অ্যাসেম্বল করার মতো কাজগুলিও থাকবে। পাশাপাশি নানারকম নাগরিক চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হতে হবে অংশগ্রহণকারী অভিবাসীদের।
রব বলেন, ‘বারবার মনে করানো হবে আমেরিকান নাগরিক হওয়া কত গর্বের এবং সম্মানজনক। তবে পরাজিত হলেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। সকলের গল্প আমরা জানতে পারব, পরিচিত হব সকলের সঙ্গে। এই রিয়্যালিটি শো-তে অংশ নেওয়ার পর অংশগ্রহণকারীরা হয়ত কোনও চাকরিও পেতে পারেন।’
ক্ষণে ক্ষণে আজগুবি চিন্তাভাবনা করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প ওস্তাদ। এর আগেও ২০১৭ সালে, নিজের প্রথম দফার শাসনকালে অভিবাসী এবং শুল্ক দফতরের নানা অপারেশনগুলি রেকর্ড করার অনুমতি দিয়েছিলেন ডকুমন্টারি ফিল্মমেকারদের। সেই রেকর্ডগুলি নিয়ে পরবর্তীতে ‘ইমিগ্রেশন নেশন ‘ নামে একটি শো তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন:- দুরন্ত কামব্যাক, মে মাসেই ৪৮% দাম বেড়েছে এই মাল্টিব্যাগার স্টকের।