মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে টানাপোড়েন চলছিল, তাতে আশার আলো দেখছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের পর রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্যে কান না দিয়ে, কর্মীদের ইতিবাচক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন আইনজীবীরা। এই প্রতিবেদনে আমরা ডিএ মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরব।
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও রাজ্যের তৎপরতা
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে রাজ্য সরকারকে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। এই নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতার একটি অংশ পাবেন কর্মীরা। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরেই নবান্ন তৎপর হয়েছে। অর্থ দফতর ইতিমধ্যেই সমস্ত দফতরের কাছে ডিএ প্রাপক কর্মচারীদের সংখ্যা জানতে চেয়েছে। বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ সঠিকভাবে গণনা এবং দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি নতুন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে।
নেতিবাচকতা ছেড়ে ইতিবাচক হন
ডিএ নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হতাশা ও সন্দেহের ছায়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকার হয়তো এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া মেটাতে পারবে না। কিন্তু আইনজীবীরা বলছেন, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনত অধিকার এবং আদালত সেই অধিকারকেই মান্যতা দিয়েছে। তাই এই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কর্মীদের উচিত এই সময়ে ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করা।