Bangla News Dunia, Pallab : জল্পনা ছিল একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যেতে পারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। দিলীপের দলবদল নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চর্চা চলছে বাংলার রাজনীতিতে। এই জল্পনায় জল ঢাললেন খোদ বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা। মঙ্গলবার বিজেপির নবনির্বাচিত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে দিলীপের। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ”আবেগ দিয়ে আমরা পার্টি দাঁড় করিয়েছি। ঘাম-রক্ত দিয়েছি। যতই বৃষ্টি হোক, আবেগের আগুন নিভে যেতে দেব না।”
আরো পড়ুন : সবাইকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মোদী সরকার ! কিভাবে আবেদন জানাবেন ?
গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন দিলীপ ঘোষ? দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে সস্ত্রীক যাওয়ার পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও দিঘায় মন্দির উদ্বোধনে গিয়ে মমতার সঙ্গে একান্তে দীর্ঘক্ষণ আলোচনাকে দল ভালো চোখে নেয়নি। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায় বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতার। এমনকী ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও নাকি তাঁকে দেখা যেতে পারে! এসব জল্পনা যখন চলছে ঠিক তার মাঝেই মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সব বিতর্কের অবসান ঘটান।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”আবেগ দিয়ে আমরা পার্টি দাঁড় করিয়েছি। ঘাম-রক্ত দিয়েছি। ১৫০ জনের বেশি কর্মী প্রাণ দিয়েছে। সেই আবেগের আগুন বুকের মধ্যে আছে। শুধু আমার নয়, শত শত কর্মীর। যতই বৃষ্টি হোক, আবেগের আগুন নিভে যেতে দেব না।” দলবদল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”বাজারে যার দাম থাকে তাঁর সেলের কথা ওঠে। যাদের দাম নেই তাঁদের কিনবে কে? তাঁরা রাস্তায় পড়ে থাকে। দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। দিলীপ ঘোষ সেলেবেল নয়।”
এদিন শমীক ভট্টাচার্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ”এক সময়ে শমীকদার পথেই তিনি হেঁটেছেন। যখন দলে এসেছিলাম তখন শমীকদা আমার সিনিয়র ছিলেন। নতুন-পুরনো সব কর্মীরা মিলেই দলকে এই জায়গায় এনেছে। লড়াই জারি থাকবে।” এদিন তিনি ভূয়শি প্রশংসা করেন শমীকের।
দল সম্পর্কে তিনি বলেন, পার্টিতে ভেদাভেদ কিছুই ছিল না। তিনি রাজ্যে বিজেপির কোনও পদে নেই। তাই তাঁকে সব জায়গায় ডাকা হবে এমনও কোনও মানে নেই। তিনি জেলায় দায়িত্বে রয়েছেন। সেখানে সংগঠনের কাজ করছেন। তবে দল যে দায়িত্ব দেবেন, সেটা পালন করবেন।
আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন