Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- দেখুন মন খারাপের দাওয়াই। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন। তার উপর বিশ্রি গরম। লকডাউনের জেরে মানসিক স্বাস্থ্যও একেবারে ভোগে। অবসাদ যেন গ্রাস করতে চাইছে। জানেন, চকোলেটের মতোই দই খেলে মন ভালো হয়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা উঠে এসেছে, মন খারাপের সময় এক বাটি দই খেলেই কেল্লাফতে! মনের মধ্যে থাকা দুঃখের বিষ তো যাবেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের অন্দরে বেশ কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণের ফলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ধরুন রাতে মন খারাপ হল, তখন? রাতে নাকি দই খেতে নেই? সাধারণত রাতের বেলা দই খেলে সেভাবে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু যাদের সহজেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে, তাদের সন্ধ্যার পর দই না খাওয়াই ভালো। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু রাতে দই খেলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে এমন কোনও কারণ নেই।
গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন দইয়ে উপস্থিত ল্যাক্টোব্যাসিলাস, সহজ কথায় উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র এমনভাবে বদলে দেয় যে ডিপ্রেশন বা অবসাদ দূরে পালায়। এখানেই শেষ নয়, ডিপ্রেশন বা মন খারাপ তখনই হয়, যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে। তাই তো দই এবং মন বা মস্তিষ্কের সম্পর্কটাকেও অস্বীকার করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনও ভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস তো কমেই, সঙ্গে উৎকণ্ঠাও কমতে শুরু করে।
Highlights
1. দেখুন মন খারাপের দাওয়াই
2. চকোলেটের মতোই দই খেলে মন ভালো হয়
#Health #দই