Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : মকর সংক্রান্তির প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। নতুন ধানে ভরে গেছে গোলা। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে চলছে চালকোটা। সেই চালের গুড়ি দিয়ে তৈরি হবে নবান্ন। পায়েস পিঠে পুলি তো রয়েইছে। আগামী শুক্রবার মকর সংক্রান্তি। তবে শুধু বাংলা নয়, ভারতের নানা প্রান্তেই পালিত হয় এই নবান্ন উৎসব। পৌষের শেষ মাঘের শুরু। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় , দেশের সর্বত্র পালিত হয় এই পৌষ সংক্রান্তি। তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে এই দিনটি পালিত হয়।কোন জায়গায় কী নামে এই মকর সংক্রান্তি পালিত হয়, জেনে নিন —–
১. প্রতিবেশী রাজ্য অসমে এই মকর সংক্রান্তি ‘ভোগালি বিহু’ উৎসব নামে পরিচিত। ‘ভোগালি’ শব্দের অর্থ হল ভোজন। অসমেও নতুন ধান ওঠে। আর এই উৎসবের খাওয়া-দাওয়া একটা বড় ব্যাপার। তার সঙ্গে মিল রেখে নামকরণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো এখানেও নতুন চালের পিঠে তৈরি করা হয়।
২. গুজরাটে এই মকর সংক্রান্তি ‘উত্তরায়ণ’ নামে পরিচিত। ঘুড়ি ওড়ানো এই উৎসবের অন্যতম রীতি। এদিন সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। প্রত্যেকেই ঘুড়িকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে সূর্য দেবতার কাছে নিজেদের মনের বার্তা পৌঁছে দেয়।
৩. দেশের সুদূর দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাডুতে মকর সংক্রান্তি পালিত হয় ‘পোঙ্গল’ নামে। এই উৎসবে সূর্যদেবের আরাধনা করা হয়। একটানা চারদিন ধরে চলে এই উৎসব। নানা সুস্বাদু পদও রান্না করা হয় এই উৎসবে। নৈবেদ্য হিসেবে সমস্ত রান্না সূর্যদেবকে দেওয়া হয়।
৪. দিল্লি ও হরিয়ানার মকর সংক্রান্তির নাম ‘সিধা’। এদিন দেশি ঘি দিয়ে মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। হালুয়া, ক্ষীর খাওয়ার রীতি রয়েছে। এদিন ভাইরা বোনেদের বাড়ি যায়, এই উৎসবের দিন নতুন জামাকাপড় দেওয়ারও রীতি রয়েছে। বিবাহিত মহিলারা শ্বশুর বাড়ির লোকেদের উপহার দেয়। একে ‘মানানা’ বলে। উৎসবের দিন লোকসংগীত গাওয়ারও চল রয়েছে।
৫. পাঞ্জাবে মকর সংক্রান্তির নাম ‘মাঘি’। ভোরবেলা উঠে স্নান করে দ্বীপ জ্বালিয়ে ভগবানের আরাধনা করা হয়। শিখদের কাছে এই উৎসহ ঐতিহাসিক উৎসব হিসেবে পালিত হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল