Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সম্প্রতি দেশের আরবিআই (RBI) ঘোষণা করেছে যে তারা ১৫ টি ব্যাংককে এক করে দেওয়া হবে মানে মারজ করে দেওয়া হবে, যা এর আগেও করা হয়েছে বড় বড় সকল সরকারি ব্যাংক গুলোর সঙ্গে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মনে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ? এবং এরই সঙ্গে গ্রাহকদের কষ্টের টাকার কি হতে চলেছে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দেশের ১৫ টি ব্যাংক বাতিল?
মুলত আরবিআই এর তরফে ১ লা মে থেকেই এক রাজ্য এক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছিলো এবং সেই অনুসারেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই কাজ সিদ্ধি করা হয়েছে। মুলত বর্তমানে সারা দেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৪৩ এর কাছাকাছি যে গুলি বড় বড় এবং এখন সেই তালিকা ২৮ এ যেতে চলেছে, আর এতেই অনেকে মনে করছেন যে গ্রাহকদের জমানো টাকার কি হবে?
সেই নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই কারণ সকল ব্যাঙ্ক জুড়ে একটি ব্যাঙ্ক গঠন করা হবে এবং তাতে সকলের টাকা সুরক্ষিত থাকবে, পশ্চিমবঙ্গ এই রকমের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক না থাকলেও, দেশের বাকি সকল রাজ্যে এই রকম ব্যাঙ্কের উপস্থিতি আছে। কিন্তু এছাড়াও বিগত দিনে RBI অনেক লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে এবং সেই কারণ সম্পর্কে আগে আলোচনা করা হল গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে।
লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ
- আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতার অভাব
- আরবিআই নির্দেশিকা লঙ্ঘন
- দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক প্রতিবেদন না জমা দেওয়া
- গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো সঞ্চয় না থাকা
- এই ধরনের কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের আমানতের ওপর আঘাত করে এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করে দেয়।
কোন কোন ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে?
- শঙ্কর নারায়ণ কো অপারেটিভ
- রত্নাগিরি আরবান কো অপারেটিভ
- নাসিক কো অপারেটিভ
- বারসি নাগরিক কো অপারেটিভ (পুরো তালিকা রিজার্ভ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন)
গ্রাহকদের কী হবে?
ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলেও গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) কাজ করছে। গ্রাহকরা সর্বাধিক ৫ লাখ পর্যন্ত ক্ষতি পূরণ, ক্লেইম প্রসেস শুরু হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত, তবে যেহেতু পুরো প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ, তাই গ্রাহকদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই সমস্যা এড়াতে কী ব্যবস্থা?
আরবিআই এখন ব্যাঙ্ক গুলোর উপর আরও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। বার্ষিক অডিট বাধ্যতা মূলক, রেগুলেটরি রিপোর্টিং সময় মতো জমা, গ্রাহক পরিষেবায় স্বচ্ছতা, ডিজিটাল সুরক্ষা নীতিমালা কার্যকর। কোন ব্যাংকে আপনি টাকা রাখছেন তা যাচাই করুন, লাইসেন্স ও আর্থিক স্থিতি জানুন, সরকারি বা নির্ভর যোগ্য বেসরকারি একাউন্ট খুলুন, বহু টাকা একটি জায়গায় না রেখে বিভাজন করুন।
আরও পড়ুন:- ১ লক্ষ ফুট উচ্চতায় বেলুন ওড়াল নাসা, কারণটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জেনে নিন
আরও পড়ুন:- শিশুদের হেলথ ড্রিঙ্কস খাওয়ানো কি ভাল? জানুন কী বলছেন ডাক্তাররা