Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ধর্মতলা চত্বরের ভোল বদলে যাবে বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই। সেই কথা মাথায় রেখে ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গোটা এলাকার পরিবহণ নিয়ে বড় পরিকল্পনা রাজ্য প্রশাসনের। কলকাতা কর্পোরেশনের বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ছাড়াও ছিলেন রাইটস ও সেনা’র কর্তারা। সেই বৈঠক থেকেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রাথমিক রূপরেখা দিল রাইটস ৷
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো পরিষেবার পর পূর্ব পশ্চিম মেট্রো পুরোদমে চালুর মুখে। এদিকে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর কাজ চলছে জোর কদমে। ফলে বর্তমান সময় যে পরিমাণ মেট্রোযাত্রী রোজ ধর্মতলা আসে তার কয়েকগুণ বাড়তে চলেছে ভবিষ্যতে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে দেওয়ার কথা অনেক দিন আগেই। ফলে সার্বিকভাবে বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবা বাড়ানো, অফিস বা কাজে আসা লোকজন গাড়ি এনে রাখলে তার ব্যবস্থা করা সবটা নিয়ে এক বড় পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্যের প্রশাসন।
সূত্রের খবর, ধর্মতলার নীচে তৈরি হবে 900 গাড়ি রাখার পার্কিং লট। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস স্ট্যান্ড যেখানে তার নীচেই এই আধুনিক মানের পার্কিং লট তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গাড়ি ঢোকা এবং বের হওয়ার জন্য থাকবে তিনটি পথ। সেই সঙ্গে চার থেকে পাঁচটি ধর্মতলা চত্বরে এপার ওপার হওয়ার জন্য সাবওয়ে তৈরি হবে। সব মিলিয়ে খরচ হবে 450 কোটি টাকা। গোটা কর্মকাণ্ডের নকশা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাইটস-কে।
রাইটস প্ল্যান তৈরি করেছে। ডিপিআর বানিয়েছে। এদিন কলকাতা কর্পোরেশনে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, সেনা, পূর্ত দফতরের উপস্থিতিতে সেই প্ল্যান দেখায় রাইটস। বৈঠকে আলোচনাও হয়। প্রত্যেকে নিজেদের পরামর্শও দিয়েছে। সেই মতো সংযোজন ও বিয়োজন হবে পরিকল্পনায়। পরিকল্পনার প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু প্রচুর লোক ঢুকবে তাই বাস স্ট্যান্ড পুরোপুরি এখান থেকে তুলে দেওয়া হবে। বাস শুধু আসবে লোক নামাবে বেরিয়ে যাবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ আছে বাস স্ট্যান্ড সরানোর ৷ পরিকল্পনা নিয়েও আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গোটা বিষয় প্ল্যান করতে রাইটস-কে দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের বিষয়টি জানাল।
আরও পড়ুন:- জরুরি খবর! ১০ই মে থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে নতুন নিয়ম! বিপদে না পড়তে হলে জেনে নিন