Bangla News Dunia, Pallab : ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে মঙ্গলবার নবগ্রাম থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য ‘পদ্মশ্রী’ সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে (Kartik Maharaj) নোটিস দেওয়া হয়েছিল। থানায় হাজিরা দেওয়ার পরিবর্তে আজ সকালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ।
আরও পড়ুন : ছক্কা হাঁকালেন শুভেন্দু ! হেরে ভূত তৃণমূল
এদিন নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও থানায় হাজিরা দেননি কার্তিক মহারাজ। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এফআইআর (FIR) খারিজের জন্য আবেদন জানান। ইতিমধ্যেই বিচারপতি সেনগুপ্ত তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সম্ভবত শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে এক মহিলাকে আশ্রমের স্কুলে শিক্ষিকা পদে চাকরি দিয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। যেহেতু ওই মহিলা নিজের বাড়িঘর ছেড়ে চাকরি যোগ দিয়েছিলেন, তাই তাঁকে থাকার জন্য আশ্রমের মধ্যেই একটি ঘর দেওয়া হয়েছিল। একদিন আচমকা তাঁর ঘরে আসেন কার্তিক মহারাজ। জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করেন। তিনি একপ্রকার বাধ্য হয়েই পুরো বিষয়টি মেনে নেন। এরপর দিনের পর দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতেই থাকে। এরপর ওই মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে, জোর করে তাঁকে গর্ভপাত করান কার্তিক মহারাজ। দীর্ঘ ১২ বছর পর নির্যাতিতা মহিলা গত ২৮ জুন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নবগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার নবগ্রাম থানার পুলিশ বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সংঘের অফিসে গিয়ে হাজিরার নোটিস দিয়ে আসে। বলা হয়, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কার্তিক মহারাজকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
সেই কারণেই মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ থানায় তাঁকে আসতে বলা হয়। কিন্তু তিনি থানায় হাজিরা না দিয়ে সোজা উপস্থিত হন হাইকোর্টে। যদিও প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কার্তিক মহারাজ। অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় মহারাজকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (MP Sukanta Majumdar)।