Bangla News Dunia, Pallab : নতুন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তালিকাটা ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরে এক হিন্দু মহিলাকে ঘরে ঢুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফজর আলি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং সেই ভিডিও তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার ঘটনায় আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশের হিন্দুদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তবে একটি মহল যে গোটা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। ফজর আলি সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন খোদ নির্যাতিতা। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, শান্তি বজায় রাখতেই মামলা তুলে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : ছক্কা হাঁকালেন শুভেন্দু ! হেরে ভূত তৃণমূল
একজন ধর্ষক শাস্তি পেলে কেন এলাকায় শান্তি বজায় থাকবে না স্বাভাবিকভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, ধর্ষণের ঘটনার পর ওই মহিলা সহ স্থানীয় হিন্দুদের ওপর চাপ তৈরি করেছে প্রশাসন ও মৌলবাদীদের একাংশ। নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় ধর্ষিতা মামলা তুলে নিতে চাইছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি অভিযুক্ত ফজল আলির শাস্তি চাই না। আমি শুধু শান্তি চাই। যারা আমার ভিডিও করে ছেড়েছে তারাও মুক্তি পাক।’
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে স্বামী আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছেন না। স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর বদলে তিনি তাঁকে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে বলেছেন। সব দিক বিবেচনা করে শান্তিতে থাকতেই ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে চাইছেন বলে ধর্ষিতা জানিয়েছেন।