Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতে নয়া লেবার কোড লাগু হলে কারা কী সুবিধা পাবেন, কী অসুবিধা তা অনেকেরই অজানা। ভারতের সংবিধানে এখন প্রায় ৪৪-টি শ্রমিক আইন আছে। এক একটি রাজ্য এক একটি শ্রমিক আইন মেনে চলে। এই আইনগুলি কয়েক দশকের পুরনো। স্বাধীনতার পর থেকে শ্রমিক আইন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই আইনে বদল আনতে, শ্রমিক আইন আরও সহজ করতে কেন্দ্র নয়া শ্রমিক আইন লাগু করার কথা ঘোষণা করে। যার বিরোধিতায় আজ ১১টি শ্রমিক সংগঠন ‘ভারত বনধ’ পালন করছে। কী রয়েছে এই নয়া শ্রমিক আইনে?
প্রতিটি রাজ্যে ভিন্ন শ্রমিক আইন থাকায় কর্মীদের বেতনে প্রভাব ফেলে। ধরা যাক, রাজস্থানে কোনও কর্মীর দিনের বেতন ৩০০ টাকা হলে তা উত্তরপ্রদেশে ২৫০ টাকা। এভাবে একটি কোম্পানি পাঁচটি আলাদা রাজ্যে কাজ করলে সেই রাজ্যের শ্রম আইনের ভিত্তিতে বেতন কাঠামো তৈরি করা কোম্পানিগুলির জন্য জটিল হয়ে ওঠে। কেন্দ্র এই ধরনের সমস্যাগুলি মিটিয়ে দেশজুড়ে একটিই শ্রম আইন আনার কথা ঘোষণা করে। গোটা দেশে যে আইন মানা হবেয সেই সঙ্গে আরও কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হয়। এর প্রভাব সমস্ত বেসরকারি ও ছোট কোম্পানি, এমএসএমই সেক্টরগুলির ওপরও পড়বে। এই আইনে সপ্তাহে চার দিন কাজ, ১২ ঘণ্টা করে এবং তিন দিন ছুটি বাস্তবায়ন হতে পারে।
আরও পড়ুন:- দুবাইতে স্থায়ীভাবে বসবাস অনেকটাই সহজ হয়ে গেল! কি সুবিধা ঘোষণা করল UAE সরকার ? জানুন
কেন্দ্রের নয়া শ্রমিক আইন বা Labour Code কী?
ভারতের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সংসদ চারটি শ্রম কোড বাস্তবায়নের কথা বলে কেন্দ্র। এই চারটি কোড মোট ২৯টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের সম্মিলিত সংস্করণ তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কোড অন ওয়েজেস, এতে সমস্ত কর্মীদের একটি বেসিক বেতন প্রদান করা হবে। রাজ্যের ভিত্তিতে বদল হবে না। তবে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। কোড অন ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিলেশনস, এতে কর্মীদের যখন তখন ধর্মঘট প্রতিরোধ করা হবে। পেশাগত সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মপরিবেশ কোড, ২০২০ এবং সামাজিক নিরাপত্তা কোড, ২০২০। এই চারটি কোডই সমানভাবে প্রশংসিত এবং সমালোচিত হয়েছে।
বিরোধীরা কেন বিরোধিতা করছে?
এই শ্রম আইনগুলি মোদী সরকারের গৃহীত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারগুলির মধ্যে একটি। বিরোধীরা এটিকে বিতর্কিত এবং শ্রমবিরোধী হিসাবে দেখছেন। শ্রমিক ইউনিয়ম সংগঠনগুলিকে ধর্মঘট করার ৬০ দিন আগে থেকে নোটিস দেওয়া থেকে কর্মী ছাঁটাই সংক্রান্ত নিয়মগুলিকে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে বিরোধীরা।
মনে করা হচ্ছে, এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে পুরানো আইনগুলি বাতিল করবে। যেসব প্রধান পরিবর্তন আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কর্মীদের ছাঁটাই, কর্মী ইউনিয়নের ধর্মঘট ঘোষণা, মেয়েদের রাতের শিফটে কাজ করার অনুমতি দেওয়া ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:- পোষা কুকুর বা বিড়াল আঁচড়ালেও কি ইনজেকশন নিতে হবে ? জেনে রাখা জরুরি