নদী কমিশন না-হলে ভুটানের পাহাড়ের জলে আমাদের ভাসতে হবে, বললেন সেচমন্ত্রী

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত-ভুটান নদী কমিশন না-হলে ভুটানের পাহাড়ের জলে ভাসতে হবে বাংলাকে । এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া । সিকিমে প্রবল বৃষ্টি ও ধস এবং উত্তরের নদী ভাঙনের পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে গিয়েছেন তিনি ৷ বর্ষার আগে আগাম ব্যবস্থা নিতে যাবতীয় কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে তা পরিদর্শন করেন তিনি ৷

জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউজে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেচমন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছর একদিকে সিকিম থেকে আসা তিস্তার জলে আমাদের সমস্যা হয় । 2023 সালের বন্যার পর রিভার বেড উঁচু হয়েছে । সেটা ড্রেজিং করা হবে । 23টা স্পট ঠিক করা হয়েছে । তিস্তা নদীতে আমরা খুব তাড়াতাড়ি ড্রেজিংয়ের কাজ করব । তিস্তা নদীর বেড উঁচু হয়ে গিয়েছে । ফলে তিস্তা গতিপথ বদলাচ্ছে । তাতে অনেক গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । আমরা তাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি । অন্যদিকে, ভুটান থেকে নেমে আসা নদীর জলে আমাদের বিপদে পড়তে হয় । ভারত-ভুটা নদী কমিশন না হলে ভুটান পাহাড়ের জলে আমাদের ভাসতে হবে ৷”

ETV BHARAT

জলপাইগুড়িতে সেচমন্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)

তিনি আরও বলেন, “শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা এই তিনদিনে চষে বেড়িয়েছি আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে । তিস্তা নদীর ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি এলাকায় প্রচুর মানুষ তিস্তা নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন । তাঁদের আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি । আমরা তিস্তার বালি তুলে বিক্রি করব । পাশাপাশি পলিমাটিও যাতে সেচ দফতর বিক্রি করতে পারে সেই বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছে । তাতে আমাদের সরকারের যেমন রেভিনিউ বাড়বে, তেমনই তিস্তার ড্রেজিংও হয়ে যাবে ।”

রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে সেচমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের এই সমস্ত কাজের জন্য একটা টাকাও দিচ্ছে না । আমরা বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছি ৷ কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না । এবার গোটা দেশের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণে 412 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন নির্মলা সীতারমন ৷ এতে কিছুই হবে না ৷ আমরাও বসে নেই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে চলেছেন । সব জায়গায় ভাঙনের বিষয়ে ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে ।”

এদিন আলিপুরদুয়ারের শিশামারা, জলপাইগুড়ির চ্যাংমারি এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার, বিডিও ও জনপ্রতিনিদের নিয়ে পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী । চ্যাংমারিতে মন্ত্রী সেচ দফতরের কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশও করেন । সেখান থেকে ফিরে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউজে জেলাশাসক, বিধায়ক-সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ।

আরও পড়ুন:- মাধ্যমিক ও আইটিআই পাশে NMDC- তে প্রচুর চাকরি, বেতন ৩৫,০৪০/- টাকা। শীঘ্রই আবেদন করুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন