নিজের এলাকায় আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবসা শুরু করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করুন ।

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্তমানে চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতার মুখে না পড়ে অনেক মানুষ চাইছেন Business করতে। নানান ধরনের ব্যবসার আইডিয়া চারিদিকে আছে। তবু ফ্র্যাঞ্চাইজির বিজনেসে যে লাভ আছে সেটা কমবেশি সবাই জানেন। মাসে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করার জন্য আপনিও নিজের এলাকায় আরম্ভ করতে পারেন আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা (Amul Franchise Business).

আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজির Business আরম্ভ করবেন কিভাবে?

যে কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।এক্ষেত্রেও তাই। আপনি যদি আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবসা আরম্ভ করেন তবে কয়েকটি বিষয় জেনে নিয়ে তবে বিজনেস শুরু করুন। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে বিস্তারিত। ‌

কেন আরম্ভ করবেন আমূলের বিজনেস?

ভারতবর্ষে আমূল একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। আমুলের প্রোডাক্ট স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করেন দেশের মানুষ। তাই ভারতের মতো দেশে আমূলের ব্যবসাটি শুরু করা বিশেষভাবে লাভজনক।ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ মানুষের ভরসা আমূলের প্রোডাক্ট। আমূলের দুধ, দই, ঘি, পনির থেকে শুরু করে আইসক্রিম সমস্ত পণ্যই ভারতে দেদার বিক্রিত। আপনি যদি এই ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি খুলে বিজনেস শুরু করেন তাহলে প্রচুর লাভ আসবে। তাছাড়া মনে রাখুন, এখানে কোনো রকম প্রফিট শেয়ারিং চার্জ নেই।

এই ব্যবসা শুরু করার শর্ত কী কী?

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি আপনার নিজস্ব দোকানেও ব্যবসা করতে পারেন, আবার ভাড়া করা দোকানেও আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজি আরম্ভ করতে পারেন। তবে এই ব্যবসার শর্ত হল একটাই আর সেটা হল, ব্যবসার জন্য নির্ধারিত ‌লোকেশন ভালো দরকার। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য দোকানটিকে সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে। দোকান সেটআপ করতে প্রাথমিকভাবে আপনার খরচ হবে মোটামুটি দেড় থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে।

বিজনেসের প্রোডাক্ট কোথা থেকে কিনবেন?

আপনি যদি আপনার এলাকায় আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজি বিজনেস চালু করতে পারেন, আমুলের হোলসেল ডিলাররা সরাসরি আপনার কাছে এসে প্রোডাক্ট সরবরাহ করবে। প্রোডাক্ট কেনার জন্য আপনাকে আলাদা করে কোনও জায়গায় যেতে হবে না।‌ এই বিজনেস চলবে একেবারে আপনার বুদ্ধিতে এবং ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে। ‌কিছু পুঁজি জোগাড় করেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হয়। ‌

এই ব্যবসা থেকে কি রকম লাভ আসবে?

আমূল ফ্রাঞ্চাইজির ব্যবসায় ভালোই লাভ আসে। অনেক আইসক্রিমে প্রায় 20% কমিশন পাওয়া যায়। দুগ্ধজাত পণ্যে কমিশন আসবে 10%। বিক্রি হওয়া দুধের পাউচে কমিশন মিলবে 2.5%, এছাড়া স্কুপ আইসক্রিম পার্লারে 50% কমিশন ও প্যাকেট আইসক্রিমে 20% কমিশন পাওয়া যায়। প্রত্যেক মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব হয় এই ব্যবসার দ্বারা।

উপসংহার

তাহলে আর দেরি কিসের নিজের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করার জন্য নিজের এলাকায় আমূলের ব্যবসা শুরু করুন। বিজনেস শুরু করার ডিটেলস আজকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করাই হলো। আশা করা যায় আপনাদের একটা ধারণা হয়েছে। এবার নিজের মত করে ব্যবসা চলুক।

আরও পড়ুন:- ফ্রি-এর দিন শেষ! WhatsApp-এ মেসেজ পাঠাতে এবার দিতে হবে টাকা। নতুন নিয়ম জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন