নিজে পারে না, বাপকে ডাকে, ট্রাম্পকে ইজরায়েলের ‘ড্যাডি’ বলে কটাক্ষ ইরানের।

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Updated on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ট্রাম্প নাকি ইজরায়েলের ‘বাবা'(Trump Daddy nickname)। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এভাবেই এক হাত নিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি(Abbas Araqchi statement)। তাঁর বক্তব্য, চাপে পড়লে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া ইজরায়েল অচল। ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ তারই প্রমাণ, দাবি ইরানের বিদেশমন্ত্রীর।

তবে তিনিই যে প্রথম ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ ডাকলেন, তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট। সেই ‘ড্যাডি’ টার্মই মনে ধরেছে আরাকচির। তাঁর দাবি, ‘ইজরায়েল বুঝে গিয়েছে যে, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের থেকে বাঁচতে হলে ওদের বাবার শরণেই আসতে হবে।’

শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরাকচি লেখেন, ‘যদি কারও আমাদের ক্ষমতা ঠিক কতটা, সেই ধারণা না থাকে, তাহলে আমরা তাকে সেটা স্পষ্ট টের পাইয়ে দেব। তাতেই সমস্ত বিভ্রমও ভেঙে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘ইরানের জনগণ আজ দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইজরায়েলের দৌড়ে বাবার কাছে পালানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।’

আরাকচির বলেন, ‘তেল আভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী) যেন একটা বিষয় মাথায় ঢুকিয়ে নেয়— তেহরান প্রয়োজনে তার ‘আসল শক্তি’ দেখাতে পিছপা হবে না।’ সংঘর্ষ বিরতির আবহে ইরানের এহেন মন্তব্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

শুধু ইজরায়েলই নয়, ট্রাম্পকেও নিশানা করছেন আরাকচি। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই-কে অসম্মান করে কথা বললে তাঁর কোটি কোটি অনুগামীর ভাবাবেগে আঘাত লাগে। যদি সত্যিই কোনও চুক্তির মাধ্যমে সমাধান চান, তাহলে প্রথমেই এই অপমানজনক ভাষার ব্যবহার বন্ধ করুন।’

ট্রাম্প অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি ‘খামেনেই-কে রুখে দিতে পারতেন’, কিন্তু ইজরায়েল ও মার্কিন সেনা বাহিনী সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। ট্রাম্পের কথায়, ‘উনি কোথায় লুকিয়ে আছেন তা আমি খুব ভাল করেই জানতাম। আমি চাইলে ওঁর জীবনাবসান ঘটাতেই পারতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি। তার জন্য আমাকে ধন্যবাদ না দিক, সমস্যা নেই… কিন্তু কৃতজ্ঞতাটুকু দেখাতে পারত।’

পরমাণু আলোচনায় নারাজ ইরান

ট্রাম্পের দাবি, তিনি ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও রাগ’ দেখে তিনি ক্ষুব্ধ। আর সেই কারণেই মত পাল্টে ফেলেছেন।

ইরান জানিয়েছে, আপাতত কোনও পরমাণু আলোচনায় তারা আগ্রহী নয়। ট্রাম্প আগামী সপ্তাহেই আলোচনার দাবি করছেন(Iran US nuclear deal)। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে তেহরান।

গত সপ্তাহে ইরানেক তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এমতাবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ফের খারাপ দিকেই গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা কূটনীতিবিদদের।

আরও পড়ুন:- রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য DA নিয়ে খারাপ খবর, বিস্তারিত

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন