নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করা হল দেশের ২৪ টি বিমানবন্দর, বাকিগুলিতেও বাড়ল নজরদারি

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ : পাকিস্তান মিসাইল এবং ড্রোন হামলা শুরু করার পর দেশের মোট ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট বিমানবন্দরগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অতিরিক্ত তল্লাশির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। বৈধ টিকিট ছাড়া এখন কেউ আর টার্মিনালে ঢুকতে পারবেন না।

বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে গাড়ি এবং যাত্রীদের ভালোরকম করে পরীক্ষার পরই এগিয়ে যেতে দেওয়া হবে। যে বিমানবন্দরগুলিতে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে তা হল, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, অমৃতসর, লুধিয়ানা, ভুন্তার, কিষেণগড়, পাতিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গাগ্গাল, ভাতিন্দা, জয়শলমীর, যোধপূর, বিকানের, হালওয়ারা, পাঠানকোট, জম্মু, লে, মুন্ড্রা, জামনগর, হিসার, পোরবন্দর, কেশর, কান্ডলা ও ভূজ।

আরও পড়ুন:- জরুরি খবর! ১০ই মে থেকে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে নতুন নিয়ম! বিপদে না পড়তে হলে জেনে নিন

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পাক মদপুষ্ট জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন নিরপরাধ পর্যটকের মৃত্যুর পরই ভারত পাকিস্তানে প্রত্যাঘাতের কথা ঘোষণা করে দেয়। সেই মতো গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯ টি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সবকটি জঙ্গি শিবির। মৃত্যু হয় অন্তত ১০০ জনের। এরপর থেকে প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছিল পাকিস্তান। বুধবার রাতে ভারতের একাধিক সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই হামলা ফলপ্রসূ হয়নি। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের ড্রোন ও মিসাইল হামলা নিষ্ক্রিয় করে দেয়। পালটা হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের লাহোর সহ বেশ কয়েকটি শহরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয় ভারতের তরফে।

আরো পড়ুন : তীব্র তাপপ্রবাহ, পারদ চড়বে ৪০ ডিগ্রিতে, কোন কোন জেলায় হলুদ সতর্কতা ? জানুন

কিন্তু তারপরও চুপ থাকেনি পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাত নটার পর অ্যাকশন শুরু করে তারা। ভারতের একাধিক শহরে হামলা চালানো শুরু করে। যদিও সবকটি হামলাই প্রতিহত করে ভারতীয় সেনা। সম্পূর্ণরূপে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় জম্মু-কাশ্মীর সহ পাঞ্জাব লুধিয়ানা একাধিক জায়গা। ধর্মশালায় বন্ধ হয়ে যায় আইপিএল খেলা। এরপর আর কালক্ষেপ করেনি ভারত। পালটা হামলা শুরু হয় লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচিতে। আকাশপথের পাশাপাশি জলপথেও হামলা শুরু করে আইএনএস বিক্রান্ত। আইএনএস বিক্রান্তের থেকে ৮ থেকে ১০ টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে যার জেরে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে করাচি ও সংলগ্ন এলাকা। তবে শুধু প্রতিপক্ষকে আক্রমণ নয়, নিজের দেশের আভ্যন্তরীন নিরাপত্তাও জোরদার করে রাখতে চাইছে ভারত। সেই লক্ষ্যেই কিছু বিমানবন্দর বন্ধ করে বাকি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, BSF-এর গুলিতে মৃত পাকিস্তানি নাগরিক

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন