Bangla News Dunia, দীনেশ : এক সময় তিনি ছিলেন বাংলাদেশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাষ্ট্রপতি। কিন্তু সেই মানুষটাকে আজ লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে ছদ্মবেশে পালাতে হল দেশ থেকে! এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বাংলাদেশ। কথা হচ্ছে শেখ হাসিনার আমলে যিনি রাষ্ট্রপতির পদ অলংকৃত করে রেখেছিলেন সেই আবদুল হামিদকে নিয়ে। হাসিনা (Sheikh Hasina) দেশ ছাড়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে মুহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) বসতেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। তাই কোনও উপায়ে লুঙ্গি পরে নিজের দেশ থেকে একপ্রকার পালাতে বাধ্য হলেন আবদুল হামিদ (Bangladesh as ex-President)।
আরও পড়ুন : শীঘ্রই বালুচিস্তান হাতছাড়া হচ্ছে পাকিস্তানের, কি ‘খেলা’ শুরু করলো BLA ? জেনে নিন
জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে লুঙ্গি, গেঞ্জি পরে মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে হাজির হন হামিদ। তাঁর সঙ্গে ছিল ইমিগ্রেশনে কূটনৈতিক সুবিধার বিশেষ লাল পাসপোর্ট। চুড়ান্ত গোপনীয়তার মধ্যে এয়ারপোর্টে তাঁকে ঢোকান হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি না হওয়ায় রাত ৩ টে বেজে ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের (Thailand) বিমানে উঠে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। কূটনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয় এই লাল পাসপোর্ট। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি হামিদের নামে ১০ বছর মেয়াদ বিশিষ্ট এই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। ২০৩০ সালের পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত এর মেয়াদ রয়েছে। শেখ হাসিনা সহ তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট ইতিমধ্যে বাতিল হলেও আবদুল হামিদের পাসপোর্ট বাতিল হয়নি। তারই সুবিধে নিয়ে দেশ থেকে বেরিয়ে গেলেন হামিদ।
আরও পড়ুন : মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিজিট বা সার্র্থটিফিকেট তৈরি করার পদ্ধতি নিন
এদিকে আবদুল হামিদের কাছে লাল পাসপোর্ট থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর কথায়, একজন মামলার আসামি হয়েও তিনি কি করে দেশ থেকে পালিয়ে গেলেন? রুহুল কবির রিজভির দাবি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি। অথচ তার লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়নি। এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা।’
আরও পড়ুন : ফ্রি রেশন সামগ্রী পাওয়া বন্ধ হচ্ছে ? জানুন নতুন সিদ্ধান্তে কী বলছে সরকার