Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাবা চেয়েছিল মেয়েকে ডাক্তার করতে। কিন্তু প্রত্যশা মতো ফল করতে পারছিল না সে। তার জেরে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মৃত্যু হল তরুণীর। অভিযুক্ত ধন্দিরাম ভগবান ভোঁসলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতার নাম সাধনা। ১৭ বছরের ওই তরুণী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। একই সঙ্গে নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সম্প্রতি একটি মক টেস্ট হয়। কিন্তু তাতে প্রত্যাশা মতো ফল করতে পারেনি। তার মা প্রীতি ভোঁসলের অভিযোগ, পরীক্ষার ফল সামনে আসার পর শুক্রবার রাতে তাঁর স্বামী মেয়েকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। তার জেরে জখম হয় সাধনা।
আরও পড়ুন:- সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পাসে এক্সিস ব্যাংকে কর্মী নিয়োগ চলছে। এখনই আবেদন করুন
শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় সাধনাকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তরুণীকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সে মারা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ধন্দিরাম ভগবান ভোঁসলে। মাধ্যমিকে ভালো ফল করায় মেয়েকে ডাক্তার করতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিল সাধনা। কিন্তু মক টেস্টে খারাপ ফল করায় বাবার রোষানলে পড়ে যায়।
প্রীতি পুলিশকে জানিয়েছেন, সাধনা মাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। লেখাপড়ায় সে বরাবরই ভালো। কিন্তু মক টেস্টের কারণে তাঁর স্বামী যে এভাবে মেয়েকে মারধর করবেন তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।
এদিকে মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পর স্থানীয় থানায় স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন প্রীতি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিএনএস-এর ১০৩ (১) ও জুভেনাইল অ্যাক্টের ৭৫ নম্বর ধারায় এফআইআর করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ধন্দিরামকে।
আরও পড়ুন:- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন নিয়ম! না মানলে জুলাই মাসে টাকা পাবেন না