Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পাকিস্তানকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে ভারত। ভারতকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠকে এমন দাবিই করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন যে, পাকিস্তানে মসজিদে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী, এটা একেবারে ভুয়ো। তাঁর কথায়, ‘ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং সব ধর্মকে সম্মান জানায়।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, পাকিস্তানের সামরিক পরিকাঠামোয় বড়সড় আঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তানের ৪টি সেনাঘাঁটিতে ক্ষতি হয়েছে। ভারতের কোনও সেনাঘাঁটির ক্ষতি করতে পারেনি পাকিস্তান। দেশকে রক্ষা করার জন্য ভারতীয় সেনা সবরকম ভাবে প্রস্তুত।
অন্য দিকে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা বজায় রাখবে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর এমন বার্তাই দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের একাধিক বার হামলার চেষ্টা বানচাল হয়ে গিয়েছে। শেষমেশ শনিবার পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে নয়াদিল্লি। তবে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের কড়া পদক্ষেপ যে জারি থাকবে, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী।
এক্স হ্যান্ডলে বিদেশমন্ত্রী লিখেছেন, গোলাগুলি ও সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে ভারত ও পাকিস্তান রাজি হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। এটা চলতে থাকবে।
আরও পড়ুন:- মুখোমুখি না পেরে অন্য ‘শয়তানি’ পাকিস্তানের, বিস্তারিত জেনে নিন
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। তার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। গত বুধবার মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর।
ভারতের এই অভিযানে পর্যদুস্ত হয় পাকিস্তান। তার পরই সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের একাধিক শহরকে নিশানা করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামাবাদের সব চক্রান্ত বানচাল করে মোক্ষম জবাব দেয় ভারত।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে, ভারত ও পাক সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। তার পর পরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন:- কেন পাকিস্তানের মতো ধসে যায়নি ভারতের শেয়ার বাজার? কারণ জেনে নিন