Bangla News Dunia, দীনেশ : কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার বদলা স্বরূপ পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য (Ind Pak Trade) বন্ধ করেছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জনবন্টন চুক্তি। তবে শুধু এখানেই থেমে নেই ভারত। মধ্যরাতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে তছনছ পরিণতি পাকিস্তান জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর। ইন্ডিয়ান আর্মির ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ধ্বংস করেছে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তো সামরিক লড়াই চলছেই। তবে ভারত পাকিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানিতে আসতে ভারতবাসী কতটা প্রভাবিত হচ্ছেন? কোন কোন জিনিসের দাম বাড়তে পারে?
আরো পড়ুন : মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৬ দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, জেনে নিন পরীক্ষার দিনক্ষণ
Ind Pak Trade Current Situation
বারবার বর্ডার পেরিয়ে ভারতের সাধারণ নাগরিক দের ওপর আঘাত হানছে পাকিস্তান। কখনো পুলওয়ামা তো কখনও পেহেলগাঁও। সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে দেশের মধ্যেই অবাধে জঙ্গিবৃত্তি চালানো। পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডে কঠোর হতে বাধ্য হয়েছে ভারত (Indian Government). কখনো অকারনে একজন পাকিস্তানিও ভারতীয়দের আক্রমণ প্রাণ হারাননি। পাকিস্তান কার্যত যেচে এসে ক্ষতি করেছে ভারতের। ফলস্বরূপ কড়া হাতে সন্ত্রাস দমনের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে ভারত (Indian Army). যার প্রভাব দুই দেশের বাণিজ্যের উপরেও পড়েছে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের উপর ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ জারি রেখেছে ভারত !
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ
পেহেলগাঁও সন্ত্রাস হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি। বাণিজ্য স্থগিত এই ঘোষণা করার ফলে দুই দেশের মধ্যে আমদানি -রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দেশের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে, ভারত পাকিস্তান বাণিজ্য একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে সেই স্থগিতাদেশের প্রভাব ভারতে কতটা পড়বে?
বাণিজ্যে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্ক অনেকদিন ধরেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের উপর বড় ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে। তারপর থেকে কার্যত দুই দেশের মধ্যে হতে থাকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমাগত ধুঁকছে। মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। দেউলিয়া হতে বসা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যের সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভারতের থেকে বেশি প্রভাবিত হবে পাকিস্তান।
ভারতবর্ষের কোন কোন জিনিসের দাম বাড়তে পারে?
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দুই দেশের মধ্যে কোন ধরণের পণ্যের লেনদেন হত? যদি পাকিস্তান থেকে রপ্তানি বন্ধ যায়, তাহলে ভারতে কোন পণ্যের দাম আরও বেশি করে বেড়ে যাবে? পাকিস্তান থেকে ভারতে আসতো রাসায়নিক, ধাতব যৌগ, চামড়াজাত পণ্য, তামা, সালফার, কাপড়, চপ্পল, মুলতানি মাটি, তরমুজ, ফুটি, সিমেন্ট, শিলা লবণ, শুকনো ফল, পাথর, চুন, তুলো, ইস্পাত, চশমার তৈরির জিনিসপত্র, ইত্যাদি।
আর ভারত থেকে পাকিস্তানে যায়, শাকসবজি ফলমূল, নারকেল, মশলা, চিনি, তৈলবীজ, ওষুধ পশুখাদ্য, দুগ্ধজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, লবণ, রঞ্জক মোটর যন্ত্রাংশ, রঞ্জক, কফি ইত্যাদি। তাই বাণিজ্যের অবনতি কিছুটা হলেও দাম বাড়াতে পারে। তবে ভারত বাণিজ্য ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাবিত হবে না।
উপসংহার: দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ইতিমধ্যে ভারত বদলায় এয়ার স্ট্রাইক করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। আর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য পরিস্থিতি স্থগিত হওয়ায় ভারতের থেকে একটু হলেও বেশি প্রভাবিত হবে পাকিস্তান।