Bangla News Dunia, দীনেশ : পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি মিসাইল হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত (India strikes Pakistan)। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই প্রত্যাঘাত চালানো হয়েছে। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনার আবহে বুধবার ভারতে বাতিল করা হয়েছে প্রায় ২০০টিরও বেশি বিমান (Flights cancelled)। সেই সঙ্গে কমপক্ষে ১৮টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ (Airports shut) করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের উপর ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ জারি রেখেছে ভারত !
জানা গিয়েছে, উচ্চতর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শ্রীনগর, লেহ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, জম্মু, পাঠানকোট, যোধপুর, জামনগর সহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে বিমান চলাচল আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আকাশা এয়ার সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি বিমান সংস্থা বিবৃতি জারি করে উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলগুলি থেকে উড়ান বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে।
আরো পড়ুন : মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৬ দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, জেনে নিন পরীক্ষার দিনক্ষণ
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র ইন্ডিগো একাই প্রায় ১৬৫টি উড়ান বাতিল করেছে। বিমান সংস্থাটির তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড় সহ উত্তরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলিতে বুধবার সারাদিন উড়ান পরিষেবা বন্ধ থাকবে এই সংস্থার। একইভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিমান কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১০ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত শ্রীনগর, জম্মু, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট বিমানবন্দরে সংস্থাটির কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। স্পাইস জেটও জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর বিমানবন্দরে বন্ধ থাকবে তাদের উড়ান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) পাঁচটি এবং পঞ্জাব প্রদেশে চারটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনার তরফে শিয়ালকোট, মুরিদকে, কোটলি, বাহওয়ালপুর এবং মুজফফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। মুরিদকেতেই রয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সদর দপ্তর। অন্যদিকে, বাহওয়ালপুরে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি। ভারতের তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কোনও সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন, হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সেনা যথেষ্ট সংযম প্রদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ৮০ থেকে ৯০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে প্রত্যাঘাতে।