Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলার বহুল চর্চিত শাশুড়ি ও জামাইয়ের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এসেছে নতুন মোড়। বিয়ের আগেই শাশুড়ি অনিতা দেবীর সঙ্গে পলায়নকারী যুবক রাহুল অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। ১৬ এপ্রিল সকালে তাঁরা দু’জনেই হঠাৎ দাদন থানায় উপস্থিত হন, সেখান থেকেই পুলিশ তাঁদের আটক করে।
ঘটনাক্রম:
৬ এপ্রিল, রাহুল তার বিয়ের কয়েকদিন আগে হবু শাশুড়ি অনিতা দেবীর সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপর তাঁরা বেশ কিছুদিন বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন। এক পরিচিত ব্যক্তির পরামর্শে তাঁরা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ জানায়, তাঁদের দুজনকে মাদ্রাক থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে অনিতার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অনিতার জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন:- ওয়াকফ আইন রুখতে সুপ্রিম কোর্টে ৭৩টি মামলা, আজ লড়াই শুরু ।
বিয়ে ভেঙে যাওয়া এবং পরিবারে সম্পর্কচ্যুতি:
ঘটনার জেরে রাহুলের প্রাক্তন বাগদত্তা শিবানী এবং তাঁর পরিবার অনিতার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। শিবানীর বক্তব্য, “আমার শাশুড়ির কারণেই আমি সমাজে অপমানিত হয়েছি। এখন ওঁর সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই।”
কালো জাদু ও বশীকরণের অভিযোগ:
এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়, যখন রাহুলের বাবা অভিযোগ তোলেন যে অনিতা কালো জাদু বা বশীকরণের মাধ্যমে তাঁর ছেলেকে প্রভাবিত করেছেন। তিনি জানান, অনিতা পাঁচদিন তাঁদের বাড়িতে ছিলেন এবং রাহুলের গলায় ও কোমরে দুটি তাবিজ বেঁধে দিয়েছিলেন। তাঁর ধারণা, এই তাবিজের মাধ্যমেই রাহুল অনিতার বশে চলে যায়।
তদন্ত চলছে:
বর্তমানে পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। সমাজে ব্যাপক চর্চার কেন্দ্রে থাকা এই ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের কাহিনি নয়, বরং পারিবারিক বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ এবং আইনশৃঙ্খলার এক অদ্ভুত সমীকরণ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন:- SBI অমৃত বৃষ্টি 444 দিনের FD স্কিমে মিলবে অবিশ্বাস্য রিটার্ন। বিস্তারিত জানুন