পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্র তো অনেক হলো, বর্ষায় বেড়িয়ে আসুন ৩ জলাধার থেকে

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ আলাদাই। এই মরশুমে চারপাশ সবুজ আর সতেজ হয়ে ওঠে। বর্ষাতেই প্রকৃতির রূপ খোলে। তবে বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলেই হয় পাহাড় কিংবা সমুদ্রের কথা মনে পড়ে। কিন্তু বর্ষার আবহে বেড়িয়ে আসতে পারেন জলাধার থেকে। বর্ষা ভ্রমণ মন্দ হবে না। কোথায় কোথায় যেতে পারেন?

দুর্গাডিহি

পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পুরুলিয়ার কদর আছেই। তবে এই জায়গার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের ধাদকিডি গ্রামের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দুর্গাডিহি। সবুজ পাহাড়ের মাঝে বিশাল জলাধার। চারিদিক সবুজের হাতছানি, আর অচেনা-অজানা পাখির ডাকে মন ভরে যাবে। পাশেই রয়েছে ইকো-রিসর্ট। ২দিনের ছুটিতেই চলে যেতে পারেন দুর্গাডিহি। ট্রেনে করে যেতে হবে বাঁকুড়া বা পুরুলিয়া। সেখান গাড়ি করে সোজা দুর্গাডিহি।

গাংদুয়া

বাঁকুড়া বেড়াতে গেলে এখানকার গাংদুয়া জলাধারটি দেখতে ভুলবেন না। সালি নদীর উপর তৈরি হয়েছে এই জলাধার। পর্যটকেদের কাছে ক্রমশই পর্যটকেদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বর্ষায় গেলে এই জায়গার রূপে মুগ্ধ হতেই হয়। তা ছাড়া এখানে বর্ষায় লকগেট থেকে জল ছাড়ার দৃশ্যও অন্যতম। জলাধারের কাছেই রয়েছে অতিথি নিবাস। সেখানেই থাকতে পারেন। কলকাতা থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই জলাধার। ট্রেনে বাঁকুড়া এসে সেখান থেকে গাড়ি করে গাংদুয়া যেতে পারেন। বাঁকুড়া থেকে এই জায়গার দূরত্ব ২১ কিলোমিটার।

পালনা

এই জলাধার রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এখাকার চান্ডিল জলাধার অনেকেরই পছন্দের জায়গা। তবে চান্ডিল আয়তনে বিশাল। চান্ডিলের চেয়ে পালনা জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে পড়লেও, সুবর্ণরেখা নদীর উপরে তৈরি এই জলাধার সৌন্দর্যে কম নয়। এই জলাধার পাহাড়ঘেরা। জলাধারের পাশেই রয়েছে নজর মিনার। সেখান থেকে জলাধার ও চারপাশের সৌন্দর্য অতুলনীয় মনে হয়। জামশেদপুর থেকে ৩৩ নম্বর জাতী সড়ক ধরে রাঁচি যাওয়ার পথে পড়বে এই জলাধার। জাতীয় সড়ক থেকে ২ কিলোমিটার ভিতরে যেতে হবে।

আরও পড়ুন:- গভীর নিম্নচাপ বঙ্গে। কতদিন বৃষ্টি চলবে ? জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন