পৃথিবীতে ফিরে আসার পর সুনীতাদের কোন স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে? জানতে বিস্তারিত পড়ুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে 9 মাসেরও বেশি সময় কাটানোর পর সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য বিশ্ববাসি অপেক্ষা করে রয়েছেন । তবে মাইক্রোগ্রাভিটি থেকে ফিরে আসার পর তাঁদের স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ।

গত বছরের 5 জুন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস-সহ নাসার একটি দল 10 দিনের যাত্রার জন্য স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশ স্টেশনে ভ্রমণ করেছিলেন । মহাকাশযানের সমস্যার কারণে, দলটি পরিকল্পনা অনুযায়ী পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেনি ।

এখন যেহেতু স্পেস এক্সের ড্রাগন মহাকাশযানটি নতুন ক্রুদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছে তাই সুনীতা এবং অন্যান্য নভোচারীরা মঙ্গলবার পৃথিবীতে ফিরে তাঁদের যাত্রা শুরু করবেন ।

সুনীতা উইলিয়ামসের পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের তারিখ এবং সময়: নাসা কর্তৃক পরিকল্পিত সময়সূচী অনুসারে, সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর 18 মার্চ সন্ধ্যা 6 টার মধ্যে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে ।

স্বাস্থ্যের পরিবর্তন: সুনীতা উইলিয়ামস এবং অন্যান্য নভোচারী যাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে 9 মাসেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন, তাঁরা পৃথিবীতে ফিরে আসার পর উল্লেখযোগ্য শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন ।

আরও পড়ুন:- সুনীতারা পৃথিবীতে ফেরার পথে স্পেস স্টেশন থেকে কীভাবে বিচ্ছিন্ন হলেন? দেখুন ভিডিও

দীর্ঘ সময় ধরে মাইক্রোগ্রাভিটিতে থাকার পর, সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের মতো মহাকাশচারীরা হয়তো দেখতে পাবেন যে ওজনহীনতায় অভ্যস্ত তাঁদের দেহ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সপ্তাহ এমনকি মাসও সময় নিতে পারে ।

হাড়ের লিগামেন্ট দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে, পায়ে হাঁটা কঠিন হবে । যারফলে ক্যালসিয়ামেরও একটা সমস্যা ও শরীরে ক্লান্ত বোধ দেখা দিতে পারে ।

মহাকাশে নভোচারীরা প্রতি মাসে তাঁদের ভরের 1% পর্যন্ত হারান । অতএব পৃথিবীতে ফিরে আসার পর এটি হাড় ভাঙার কারণ হতে পারে । এগুলি সারতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে । মহাকাশচারীদের সাধারণত শক্তি প্রশিক্ষণ, উচ্চ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়ানো হয় ।

ভেস্টিবুলার সিস্টেম যা ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । কিন্তু এটি পৃথিবীর মতো মহাকাশে কাজ করে না ৷ পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাঁরা মাথা ঘোরা অনুভব করতে পারেন । তাঁদের মস্তিষ্কের পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ।

অনেক মহাকাশচারী পৃথিবীতে ফিরে আসার পর মহাকাশযান-সম্পর্কিত নিউরো-অকুলার সিনড্রোম (SANS) অনুভব করেন । এরফলে তাঁদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে এবং কাছের বস্তুর উপর মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে ।

তাছাড়া মহাকাশ থেকে ফিরে আসা কেবল একটি শারীরিক চ্যালেঞ্জই নয়, বরং একটি মানসিক চ্যালেঞ্জও । মহাকাশে মাসের পর মাস থাকার পর, পৃথিবীর সংবেদনশীল অতিরিক্ত চাপ সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে আসতে দেরি হতে পারে । এছাড়াও শব্দ, গন্ধ এবং অতিরিক্ত কার্যকলাপ মোকাবিলা করা কঠিন হতে পারে ।

সুনীতা উইলিয়ামসের বেতন: নাসার মহাকাশচারীদের GS12 থেকে GS15 গ্রেডে বেতন দেওয়া হয় । মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের বেতন GS15 গ্রেডে । GS15 গ্রেডের কর্মীদের বার্ষিক বেতন ভারতীয় টাকায় আনুমানিক 1.08 কোটি থেকে 1.41 কোটি টাকা । নাসা সূত্র জানিয়েছে, মহাকাশ স্টেশনে 9 মাস থাকার জন্য তিনি 1.05 কোটি টাকা এবং অন্যান্য ভাতা হিসেবে 1.06 কোটি টাকা পাবেন ।

আরও পড়ুন:- ফাইন বাড়ল ট্র্যাফিকে, কোন আইন ভাঙলে কত জরিমানা? জেনে নিন

আরও পড়ুন:- আপনার সন্তান মোটা হয়ে যাচ্ছে, মা-বাবারা এই ভুলগুলো করছেন না তো ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন