Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পেঁয়াজের দাম মাঝে চড়লেও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু রান্নার প্রয়োজনে পেঁয়াজ বাজার থেকে কিনতে হয়। পেঁয়াজ কিনতে নির্দিষ্ট দাম দিতে হয়। কিন্তু এমন একটা সময় ছিল যখন পেঁয়াজ নিজেই ছিল টাকা।
পেঁয়াজ দিয়েই বরং অন্য জিনিস কেনা যেত। মধ্যযুগে বিশ্বের কয়েকটি জায়গায় পেঁয়াজ ছিল যে কোনও কিছু কেনার মাধ্যম। শুধুই কি কেনা! ঘর ভাড়াও দেওয়া হত পেঁয়াজ দিয়ে।
আবার কারও কোনও অনুষ্ঠানে গেলে নিমন্ত্রিতরা উপহার হিসাবে পেঁয়াজ দিতেন। পেঁয়াজের বিনিময়ে অনেক জিনিস কেনা যেত। আবার কোনও পরিষেবাও পেঁয়াজের বিনিময়েই পাওয়া যেত।
প্রাচীন মেসোপটেমিয়া বা মিশরের মত জায়গায় পেঁয়াজ কার্যত মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার হত। এমনকি অন্য জায়গার সঙ্গে যে পণ্য আদানপ্রদান হত, তাতেও পেঁয়াজ একটি মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার হত।
মিশরে যখন পিরামিড তৈরি করা হত, তখন সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়া হত পেঁয়াজ দিয়ে। পেঁয়াজের এতটাই গুরুত্ব ছিল মধ্যযুগীয় সময়ে।
আবার ফিলিপিন্সেও পেঁয়াজকে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। সেখানে বিনিময় মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার হয়েছে পেঁয়াজ।
মশলাদার নোনতা খাবার হোক বা মিষ্টি জাতীয় খাবার। সে সময় পেঁয়াজ ২ ধরনের রান্নাতেই বহুল ব্যবহার হত। যা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিত। তাই পেঁয়াজের সে সময় কদরও ছিল যথেষ্ট। প্রসঙ্গত পেঁয়াজ কিন্তু মানুষের খাবার হিসাবে ৭ হাজার বছর আগেও ব্যবহার হত।