পে-কমিশন রিপোর্টে বছরে ২ বার ডিএ-র সুপারিশ ! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন মলয় মুখোপাধ্যায়

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) নিয়ে বিতর্কের আগুন আরও উস্কে দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন যে, ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্টে বছরে দুইবার AICPI সূচক অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই সুপারিশ মানতে নারাজ, এবং সেই কারণেই পে কমিশনের রিপোর্ট আজও অপ্রকাশিত। মলয়বাবুর এই বিস্ফোরক দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহলে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন : ভারতীয় রেলে প্রচুর কর্মী নিয়োগ। মাসিক বেতন 19,900 টাকা। শীঘ্রই আবেদন করুন

পে কমিশনের রিপোর্ট এবং ডিএ-র গোপন রহস্য

মলয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে গঠিত ষষ্ঠ পে কমিশন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আজ পর্যন্ত জনসমক্ষে আনা হয়নি। তাঁর বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, রিপোর্টে কর্মচারীদের স্বার্থে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল, যার মধ্যে অন্যতম হলো মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত সুপারিশ।

মূল অভিযোগগুলি হলো:

  • AICPI অনুযায়ী ডিএ: মলয়বাবুর মতে, পে কমিশনের রিপোর্টে স্পষ্ট বলা আছে যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বছরে দুইবার সর্বভারতীয় উপভোক্তা মূল্য সূচক (AICPI) অনুযায়ী ডিএ দিতে হবে।
  • রিপোর্ট গোপনের কারণ: তাঁর দাবি, সরকার যদি এই রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাহলে ডিএ সংক্রান্ত মামলায় সরকারের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। ঠিক এই কারণেই পঞ্চম পে কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল এবং জয়লাভ সম্ভব হয়েছিল। সরকার সেই পুনরাবৃত্তির ভয়েই ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট গোপন করে রেখেছে।
  • গণতান্ত্রিক নীতির লঙ্ঘন: পে কমিশনের রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ না করাকে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন বলে তিনি মনে করেন।

আরও পড়ুন : ঘরে ঢোকা সাপ বিষধর কিনা বুঝবেন কীভাবে ? এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন

আরও পড়ুন : ফের ধূসর তালিকায় ঠাঁই হবে পাকিস্তানের! পহেলগাঁও নিয়ে কড়া বিবৃতি দিল এফএটিএফ

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন