Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আধুনিক ভারতীয় জীবনযাত্রা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কাজের ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে তেমনি রোজকারের জীবনযাপনও বেশ চাপযুক্ত। ডিজিটাল মাধ্যম ও বাইরের চাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে ভারতীয়দের একাংশ স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁদের পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। একাধিক গবেষণাতেই প্রমাণিত যে যাদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য খুবই ভাল থাকছে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে অনেকটাই সহায়তা করছে পোষ্যরা। বিশেষ করে এই ভার্চুয়াল দুনিয়ার ক্ষেত্রে। গবেষণায় উঠে এসেছে যে পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটালে আপনার মানসিক চাপের হরমোন, যা কর্টিসল নামে পরিচিত তা অনেকটাই কমে এবং অক্সিটোসিন হরমোন বৃদ্ধি পায়। যেটি লাভ হরমোন নামে পরিচিত।
কমছে উদ্বেগ-মানসিক চাপ
নতুন প্রজন্মের পোষ্যদের মালিকরা তাদের বাড়িতে মিষ্টি একটি লোমশ প্রাণীকে সঙ্গে পেয়ে দারুণ সময় কাটাতে পারছেন। নতুন এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পোষ্যদের মালিদের ওপর তাদের সারমেয়দের প্রভাব। দৈনিক জীবনযাত্রা, মানসিক স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল অভ্যাসের ওপর বড় প্রভাব ফেলে পোষ্যেরা। গবেষণায় পোষ্যের মালিকেরা দাবি করেছেন যে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কম সময় দিচ্ছেন কারণ তাদের পোষ্যদের কারণে। ৫৭ শতাংশের বেশি ভারতীয় পোষ্য মালিকেরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর চেয়ে তারা বেশি করে সময় দিতে চাইছেন নিজেদের পোষ্য কুকুর-বিড়ালদের। রিলস দেখার চেয়ে তাদের প্রিয় পোষ্যদের আদর করা বেশি পছন্দ করছেন তারা।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে
শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, পোষ্যরা ৯২ শতাংশ মানুষকে স্ক্রিন থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করছেন। যাদের কাছে পোষ্য রয়েছে তাদের ঘুমও অনেক ভাল হয়ে গেছে। পোষ্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘুমোলে সেইসব ভারতীয়রা স্বস্তিতে ও আরামে ঘুমোতে পারছেন। অর্থাৎ বাড়িতে পোষ্য থাকার অর্থ আপনার ঘুমও আরও ভাল হবে। স্বাচ্ছন্দ্য, নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি পোষ্যদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আপনাকে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে ঘুমোনোর সময়। সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও পোষ্যদের ভূমিকা রয়েছে। কারণ তাদের বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার ফাঁকে মালিকদের সামাজিক যোগাযোগ বাড়ছে।
একাকীত্ব কমবে
বাড়িতে লোমওয়ালা একটা চারপেয়ে জীব পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ালে মন ভালো থাকে। এমনই দাবি করছেন মনোবিদরা। আসলে আজকাল একাকিত্ব এতই বেড়ে চলেছে যে সঙ্গী হিসেবে পোষ্য এক কথায় দুর্দান্ত। দেখা যায়, ওর পিছনেই সারাদিন কেটে যাচ্ছে। আবার বাড়িতে বাচ্চারা থাকলেও পোষ্যদের সঙ্গে ভালো ভাব হয়ে যায়। পোষ্যটি ধীরে ধীরে কখন যে পরিবারের সদস্যে পরিণত হয় বোঝাই যায় না। তাই এখন অনেকেই বাড়িতে পোষ্য নিয়ে আসছেন বা আনার কথা ভাবছেন।
পোষ্যদের আদর-যত্ন করুন
তবে এটা অবশ্যই মনে রাখবেন, পোষ্যরা যেমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিচ্ছে আপনাকেও তাকে সেই ভালোবাসা, আদর-যত্ন দিতে হবে। যেমন বাড়ির সন্তানদের খেয়াল রাখেন তেমন করেই যত্ন নিতে হবে। অসুস্থ বা বয়স হয়ে গেলে সেই পোষ্যকে বাড়ির বাইরে দিয়ে আসা একেবারেই সঠিক কাজ নয়। তাকে যথাযথ লালন-পালন করার দায়িত্ব নিতে পারলে তবেই বাড়িতে পোষ্য আনার কথা চিন্তা-ভাবনা করুন।
আরও পড়ুন:- কি কান্ড! হোটেল রুমের ‘ঘনিষ্ঠ’ মুহূর্ত মোবাইলবন্দি করতে মানুষের হুড়োহুড়ি ফ্লাইওভারে।