প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির টাকা কবে পাবেন? নতুন আবেদন কিভাবে করবেন?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলার মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM Awas Yojana) ও বাংলার বাড়ি প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে, এই সংক্রান্ত একটি সুখবর এসেছে, বিশেষত যারা বাড়ি তৈরির জন্য টাকা পাওয়ার আবেদন করেছেন। অনেক দিন পর এই মানুষগুলোর স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণের পথে এক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের (Banglar Bari Scheme) দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মে মাসেই ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এটি শুধু একটি আবাসন প্রকল্প নয়, বরং দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের এক বড় আশ্বাস।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পরবর্তী কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে?

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ২য় কিস্তির টাকা

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আবাস যোজনা তথা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬০,০০০ টাকা পেয়েছিলেন উপভোক্তারা। এর মধ্যে প্রায় ৮ লক্ষ উপভোক্তা ইতিমধ্যেই তাদের বাড়ি নির্মাণের কাজ লিংটন ঢালাই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সরকার তাদের কাজের মান পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হওয়ায় তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের অনেকের ই একাউন্টে টাকা ঢুকে গেছে

আরও পড়ুন:- পোস্ট অফিসের ধামাকা স্কিম! 2 লাখ রাখলে হাতে পাবেন 6 লাখ! বিস্তারিত জেনে নিন

আর যারা এখনও টাকা পাননি। এবং যাদের পরিদর্শনের কাজ দেরিতে হয়েছে তাদের চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। যে ৮ লক্ষ মানুষ বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন, তাদের জন্য এই টাকা প্রদান করা হবে। অর্থ দপ্তর ও পঞ্চায়েত দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই টাকা ছাড়ের কাজ শুরু হয়েছে, যা মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের গুরুত্ব

বাংলার বাড়ি প্রকল্প কোনো সাধারণ আবাসন প্রকল্প নয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উদ্যোগ, যেখানে গরিব এবং ছাদহীন মানুষের জন্য সরকার নিজের অর্থে সহায়তা প্রদান করছে।

বাংলার বাড়ি প্রকল্প লিস্ট

প্রথম কিস্তির পর, এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অর্থ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, রাজ্য সরকার নিজে থেকেই এই প্রকল্প চালু করেছে। কারা টাকা পাবেন, সেই তালিকা দেখতে স্থানীয় প্রশাসন ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

কারা এখনও টাকা পাননি?

যদিও বেশ কিছু মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন, কিন্তু কিছু পরিবার এখনও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। এর ফলে তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে গেছে। তবে প্রশাসন তাদের কাজে দ্রুতগতিতে নজর দিচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, তারা খুব শীঘ্রই কাজ সম্পন্ন করবেন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪ লক্ষ উপভোক্তার নির্মাণ কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই কারণে তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে গেছে।

প্রশাসন নিয়মিতভাবে পঞ্চায়েত স্তরে নজরদারি চালাচ্ছে যাতে এই কাজ দ্রুত শেষ করা যায়। এক সরকারি হিসাবে জানা গেছে, ২০ হাজার উপভোক্তা এখনও পর্যন্ত নাকি, বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরুই করেনি। অর্থের অভাব, পারিবারিক সমস্যা বা অন্যান্য কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে। এদের জন্য রাজ্য সরকার একটি আলাদা পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে নজরদারি চালাচ্ছে যাতে দ্রুত তাদের কাজ শুরু করা যায় এবং তারা দ্রুত প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে যায়।

 

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার

মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্প্রতি সংঘর্ষের কারণে প্রায় ৩০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তি দ্রুত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর তাদের জন্য নতুন আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের কিভাবে আবেদন করতে হবে জেনে নিন।

  • এই পরিবারগুলোর জন্য বাড়ি নির্মাণের যাবতীয় দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিবে।
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • প্রতিটি এলাকায় সার্ভে করে আবেদনপত্র স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নেওয়া হবে।
  • তাই নিজের একালায় খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য

পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ৮ লক্ষ উপভোক্তার জন্য ৪৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই টাকা মে মাসের মধ্যে তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছানোর জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উপসংহার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, পঞ্চায়েত ও অর্থ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোন উপভোক্তার টাকা আটকে না থাকার জন্য নজরদারি চালানো হবে। বাংলার বাড়ি প্রকল্প, যা মূলত গরিব মানুষের জন্য একটি আশার আলো, তার মাধ্যমে রাজ্য সরকার একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা শুধু আবাসন সংকটই মোকাবিলা করছে না, পাশাপাশি সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখছে

আরও পড়ুন:- কিডনি বিকল হচ্ছে, এই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হয়ে যান

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন