নতুন মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬ এর জন্য প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া এবং উপলব্ধ কর ছাড়ের সুবিধাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখানে আলোচনা করা হলো। এই নির্দেশিকাটি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আয়কর সম্পর্কিত বিষয়গুলি সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন : LPG সিলিন্ডার থেকে PF, UPI, ফিক্সড ডিপোজিট ! বদলে যাচ্ছে বহু নিয়ম
প্রবীণ নাগরিক কারা ?
আয়কর আইন অনুযায়ী, যে সকল ভারতীয় নাগরিকের বয়স পূর্ববর্তী আর্থিক বছরে ৬০ বছর বা তার বেশি কিন্তু ৮০ বছরের কম, তাদের প্রবীণ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়। যাদের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি, তাদের অতি প্রবীণ নাগরিক (Super Senior Citizen) বলা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ কর ছাড় এবং সুবিধা:
- আয়কর রিটার্ন ফাইলিং থেকে অব্যাহতি (ধারা 194P): ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিক, যাদের শুধুমাত্র পেনশন এবং একই নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদের আয় রয়েছে, তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে ব্যাংক প্রয়োজনীয় কর কেটে নেবে।
- উন্নত কর ছাড়ের সীমা: প্রবীণ নাগরিকরা সাধারণ করদাতাদের তুলনায় উচ্চতর ছাড়ের সীমা উপভোগ করেন। নতুন এবং পুরনো উভয় কর কাঠামোতেই তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
- সুদের উপর অতিরিক্ত ছাড় (ধারা 80TTB): ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের আমানত থেকে প্রাপ্ত সুদের উপর প্রবীণ নাগরিকরা বার্ষিক ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা পান।
- স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর ছাড় (ধারা 80D): প্রবীণ নাগরিকরা নিজেদের এবং পিতামাতার (যদি তারাও প্রবীণ নাগরিক হন) স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের জন্য ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করতে পারেন।
- অগ্রিম কর প্রদান থেকে মুক্তি: যে সকল প্রবীণ নাগরিকের ব্যবসা বা পেশা থেকে কোনো আয় নেই, তাদের অগ্রিম কর (Advance Tax) জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- কাগজে আইটিআর ফাইল করার সুবিধা: প্রবীণ নাগরিকরা চাইলে এখনও কাগজে তাদের আয়কর রিটার্ন (ITR-1 বা ITR-4) জমা দিতে পারেন।
আরো পড়ুন : ‘মিনিমাম ব্যালেন্স’-এর নিয়ম তুলে দিল এই সরকারি ব্যাঙ্ক ! বড় স্বস্তি গ্রাহকদের