Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট ১৬ মে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জমে থাকা বকেয়া ডিএ র ২৫% অংশ ২৭ জুন ২০২৫ এর মধ্যে পরিশোধ করতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (Government of West Bengal). এছাড়াও, ১৫ জুনের মধ্যে এই সংক্রান্ত অগ্রগতির রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ মামলা
কিন্তু রিপোর্ট বলছে, রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কোনো রিপোর্ট জমা দেয়নি। এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে সরকার শেষ পর্যন্ত আদৌ বকেয়া পরিশোধ করবে কি না, নাকি আবারও সময় চাওয়া হবে আদালতের কাছে। বর্তমানে যে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, তা হলো ২৫% ডিএ বকেয়ার মধ্যে ৮০% টাকা সরাসরি কর্মীদের একাউন্টে পাঠানো হবে এবং বাকি ২০% জমা দেওয়া হবে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (GPF).
আরও পড়ুন:- ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ একজনকেই ৮৬০ কোটি টাকা বেতন দেবেন, কী করতে হবে তাকে ?
Dearness Allowance Case in Supreme Court
সরকার চাইছে বকেয়া ডিএর একটা অংশ সরাসরি না দিয়ে কর্মীদের PF এ জমা দিয়ে কিছুটা চাপ কমাতে। কিন্তু এই পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠছে এটা কি আদালতের নির্দেশের লঙ্ঘন নয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালত যদি স্পষ্টভাবে “পূর্ণ অর্থে নগদ পরিশোধ” নির্দেশ দিয়ে থাকে, তাহলে GPF এ টাকা দেওয়া আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে যেতে পারে।
২৫% বকেয়া ডিএ পরিশোধে মোট খরচ হবে প্রায় ১০,০০০ কোটি এমনটাই নানা সংবাদ মাধ্যমে জানানো হচ্ছে আসল কত টাকা খরচ হবে সেই সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি, এই পুরো পরিমাণ না দিয়ে ৮০% – ২০% ফর্মুলায় দিলে খরচ প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকায় নামতে পারে বলে অনুমান, রাজ্যের দাবি, বর্তমানে রাজ্য কোষাগারে এত বড় অঙ্কের টাকা এক সঙ্গে দেওয়া সম্ভব নয়।
যদিও সময় সীমা শেষ হতে আর মাত্র একদিন বাকি, এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সরকারি নির্দেশিকা বা বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কর্মচারীরা তাই চিন্তায় ২৭ জুন বা আগামীকালের মধ্যে আদৌ কোনো টাকা তারা পাবেন কি না।দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি পেয়ে আর অপেক্ষায় থাকা সম্ভব নয়, যদি আবার সময় বাড়ানো হয়, তাহলে কর্মচারীদের সংগঠন নতুন আন্দোলনের পথে হাঁটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উপসংহার
রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত অবস্থান এখনো অস্পষ্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২৭ জুনের মধ্যে অর্থ প্রদান না হলে, বিষয়টি আদালত অবমাননার পর্যায়ে যেতে পারে। আবার, রাজ্য যদি অংশিক টাকা PF এ জমা দেয়, সেটাও চ্যালেঞ্জ হতে পারে আইনি দিক থেকে।
আরও পড়ুন:- চিনে পাওয়া গেল ভয়াবহ ‘Deadly Brain Virus’; আবারও কি অতিমারি ?
