Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শরীরের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ থাকার জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। বয়স বাড়লে শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যেমন পেশীক্ষয়, বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়া এবং হাড়ের ঘনত্ব কমা। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে, আপনার এমন খাবার খাওয়া শুরু করা উচিত যা আপনার বৃদ্ধ বয়সেও শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান
বয়স বাড়লে শরীরের পেশী কমতে থাকে। তাই, আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের উৎস রাখতে ভুলবেন না। শাকসবজির পাশাপাশি, আপনার প্রতিদিন দই, মসুর ডাল, ডিম বা পনিরের মতো খাবারও খাওয়া উচিত। এটি শরীরে শক্তি যেমন বজায় থাকে তেমনই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রিত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি অপরিহার্য
শরীর সুস্থ রাখার জন্য, দুধ, দই এবং পনিরের মতো ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন কেও গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টি উপাদানগুলি হাড়কে শক্তিশালী রাখতে এবং আঘাতের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় রাগি, তিল, শাকসবজি, মাছ এবং ঘি জাতীয় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখুন।
অন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার
পাকস্থলী এবং পাচনতন্ত্র ভাল থাকলে, পুরো শরীরই সুস্থ থাকে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্নায়ুতন্ত্র, হৃদরোগ এবং এমনকি মেজাজ নির্ভর করে। তাই, ৬০ বা ৫৫ বছর বয়সের পরেও, প্রত্যেকেরই তাদের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল, হালকা মশলাদার ডাল, দই রাখা উচিত। এগুলি হজম প্রক্রিয়া ভাল করতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এই জিনিসগুলি খান
ক্লান্তি, ভুলে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের দুর্বলতা বার্ধক্যের লক্ষণ। তবে এর পাশাপাশি, এটি প্রায়শই রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাসের লক্ষণও হতে পারে, তাই আপনার খাদ্যতালিকায় ভাল চর্বি (বাদাম, বীজ), রঙিন শাকসবজি, হলুদ এবং কারি পাতা বা ব্রাহ্মীর মতো ভেষজ অন্তর্ভুক্ত করুন।
হাইড্রেটেড রাখুন শরীর
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খান। শরীরের হাইড্রেশন পুরো শরীরের কার্যকারিতা ভালোভাবে বজায় রাখতে খুবই সহায়ক। এ ছাড়াও, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করা গুরুত্বপূর্ণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটি সময়সূচী ঠিক করুন এবং সঠিক সময় খাওয়া দাওয়া করুন।
আরও পড়ুন:- কি কান্ড! হোটেল রুমের ‘ঘনিষ্ঠ’ মুহূর্ত মোবাইলবন্দি করতে মানুষের হুড়োহুড়ি ফ্লাইওভারে।