Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রকল্পের মাধ্যমে কাশ্মীরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেল। এই রেললাইনের মাধ্যমে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হলো কাশ্মীর উপত্যকা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরে গিয়ে চেনাব রেলওয়ে ব্রিজ, আঞ্জি খাদ রেলওয়ে ব্রিজের পাশাপাশি এক জোড়া বন্দে ভারত ট্রেনেরও উদ্বোধন করেছেন। কাশ্মীরের যে এলাকা দিয়ে এই এক্সপ্রেস ছুটবে, বছরের অনেকটা সময় ওই সব এলাকা ঢেকে যায় বরফে। তাই এই দুই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যাতে সারা বছর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
কোন রুটে বন্দে ভারত?
আপাতত কাশ্মীরের শ্রীনগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জম্মুর কাটরা পর্যন্ত চলবে এক জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বর্তমানে জম্মু রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হলে শ্রীনগর থেকে কাটরা হয়ে জম্মু পর্যন্তই চলবে এগুলি।
আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ DA তে কার কত বকেয়া ? জানাতে পোর্টাল খুললো অর্থ দপ্তর
এই রুটের বন্দে ভারত কেন বিশেষ?
কাশ্মীরের এই রুটে চালানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কারণ কাশ্মীরের পার্বত্য অঞ্চলের আবহাওয়া দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে অনেকটাই আলাদা। বছরের বড় সময় এখানে থাকে প্রবল ঠান্ডা। বরফে ঢেকে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই পরিস্থিতিতেও যাতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সে ভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই এক্সপ্রেস। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও চলবে এই বন্দে ভারত।
এই এক্সপ্রেসের জানলার কাচ বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। যাতে বরফ পড়লেও তা জানলার কাচে জমবে না। গলে যাবে। ট্রেনচালকের ফ্রন্ট লুকআউট গ্লাসেও থাকবে বিশেষ হিটিং সিস্টেম। যাতে বরফের মধ্যে ট্রেন চালাতে কোনও অসুবিধা না হয়। বরফ পড়লেও সঙ্গে সঙ্গে তা গলে যায়। এবং খারাপ আবহাওয়াতেও দৃশ্যমানতা বজায় থাকে।
প্রবল ঠান্ডায় ট্রেনের ভিতর যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য থাকবে উন্নতমানের হিটিং সিস্টেম। বাইরে বরফ পড়লেও ট্রেনের ভিতরে যাত্রীরা পাবেন উষ্ণতার পরশ।
এই বন্দে ভারতে থাকবে ‘থার্মালি ইনস্যুলেটেড টয়লেট’। অর্থাৎ বাইরে বরফ পড়লেও শৌচালয়ের গরম জল পাবেন যাত্রীরা। পাইপে এবং ট্যাঙ্কেও জল জমে যাবে না।
বরফাবৃত রেললাইনে যাতে ট্রেন চলাচলে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার ব্যবস্থাও থাকছে এই বিশেষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। এতে থাকা এয়ার ড্রায়ার সিস্টেম বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেবে যাতে ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম সচল থাকে।
এর পাশাপাশি ট্রেনের কোচের ভিতর এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা, অটোম্যাটিক প্লাগ ডোর, মোবাইল চার্জিং, সিসিটিভি-র পাশাপাশি একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে।